কাউকে ছাড়ব না, জঙ্গিপুর হিংসার দোষীদের পাতাল থেকে টেনে বার করব: জাভেদ শামিম
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ এপ্রিল ২০২৫
জঙ্গিপুর হিংসায় যারা জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না, দরকারে পাতাল থেকে তাদের টেনে বার করব। এলাকায় শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে একথা বললেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। সোমবার দুপুরে ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সবাইকে গুজব থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করেন। বলেন, শান্তি ফেরানোয় সব থেকে বড় প্রতিবন্ধকতা হল গুজব।
রাজ্যের অন্যতম শীর্ষ এই পুলিশকর্তা বলেন, ‘শনিবার বিকেলের পর থেকে তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টা জঙ্গিপুরে পুরো শান্তি বহাল আছে। পুলিশ পুরোপুরি সতর্ক রয়েছ। মানুষের আস্থা ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। আশা করি খুব দ্রুত জনজীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ তিনি জানান, ‘কিছু লোক যারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কাল রাতেই ১৯ জনের মতো ফিরে এসেছেন। বাকি ঘরছাড়াদেরও দ্রুত বাড়িতে ফেরাতে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছ, তবে স্বাভাবিক হয়েছে একথা বলা যায় না।’
তিনি জানান, ‘এত গুজব বাজারে ঘুরছে যে মানুষের আস্থা ফেরানো খুব মুশকিল হয়ে গিয়েছে। গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে আমরা বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করেছি। তবে আসেপাশের এলাকার মোবাইল টাওয়ার ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তাই মালদা ও বীরভূমের কিছু এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করতে হয়েছে। তবে নতুন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে এই তথ্য ঠিক নয়। গুজব ছড়ানোটা সবার আগে বন্ধ করতে হবে।
আমি সবাইকে অনুরোধ করব গুজবে কান দেবেন না। কোনও তথ্য পেলে আগে যাচাই করুন। যাচাই করে তার পর পদক্ষেপ করুন। কেউ গুজব ছড়ালে পুলিশকে জানান। আমরা তদন্ত করে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব। শান্তিস্থাপনের ক্ষেত্রে গুজব হল সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা।’
দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে জাভেদ শামিম বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা ২০০ পার করে গিয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত যত FIR পেয়েছি নথিভুক্ত হয়েছে। এর পরেও যারা আমাদের কাছে আসবেন তাদের FIR গ্রহণ করব। প্রথম দিন থেকে বলেছি, আজও বলছি, যারা দোষী। দোষ করেছে কাউকে ছাড়া হবে না। যেখানে যেতে হয় যাব। পাতাল থেকে মাটি খুঁড়ে তাদের বার করব। তিনি যেই হোক না কেন, যত বড় ব্যক্তিই হোন না কেন, সবাইকে আইনের অধীনে আনা হবে। এবং তাদের আইন মেনে শাস্তি দেওয়া হবে।’