নেশার দ্রব্যের ডেলিভারি নিতে এসে পাকড়াও দুই বাংলাদেশি পাচারকারী
বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, ডোমকল: বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢুকেছিল দুই বাংলাদেশি। ছক ছিল এপারের কারবারির থেকে মাদক ও ব্যথার ওষুধ নিয়ে ওপারের মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পরিকল্পনা মাফিক সবই এগচ্ছিল। জিরো পয়েন্টের কাছে গিয়ে তাদের হাতে ওইসব জিনিসও তুলে দিয়েছিল এপারের ক্যারিয়াররা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গেল সেই পরিকল্পনা। পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগেই জিরো পয়েন্টের কাছে থেকে দুই বাংলাদেশি পাচারকারীকে পাকড়াও করল বিএসএফ। বুধবার রাতে রানিনগরের হারুডাঙ্গা থেকে তাদের পাকড়াও করেছে ৭৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন বিএসএফের হারুডাঙ্গা ক্যাম্পের জওয়ানরা। ধৃতদের থেকে ব্যথার ওষুধের ২০০টি পাতা ও ৮ বোতল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপও বাজেয়াপ্ত করেছে জওয়ানরা। ধৃতদের নাম গুলাব শেখ ও জীবন শেখ। তাদের দু’জনের বাড়িই বাংলাদেশের রাজশাহীর দামকুরা থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে লালবাগ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় ব্র্যান্ডের ব্যথার ওষুধ সেবন করে নেশা করছেন ওপারের নেশারুরা। ফলে হঠাৎ করেই ওপারে চাহিদা বেড়েছে এপারের ব্যথার ওষুধের। মোটা দাম মেলায় চোরাপথে ব্যথার ওষুধ পাচার করতে মরিয়া হয়ে উঠছে পাচারকারীরা। ক্যারিয়াররা ওইসব ওষুধ বাজার থেকে চোরাপথে কিনে ওপারের কারবারিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। সূত্রের খবর, ওই দুই বাংলাদেশিও ব্যথার ওষুধের চালান নেওয়ার জন্যই এদেশে ঢুকেছিল। বুধবার রাতে তারা হারুডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় কৃষিজমিতে প্রবেশ করে এপারের ক্যারিয়ারদের কাছে ওই মাদক নিয়েছিল। ওই মাদক নিয়ে তারা বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল। কিন্তু জিরো পয়েন্টের কাছে রাতের বেলা আনাগোনা দেখেই হানা দিয়ে তাদের ধরে ফেলে জওয়ানরা।
এরপরই ওই তিনজনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএসএফের তরফে তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হলেও তারা তা দেখাতে পারেনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেয়। পাশপাশি ধৃতরা জানায়, তারা মাদক ও ব্যথার ওষুধ পাচারের জন্য অবৈধভাবে এদেশে ঢুকেছিল।
ধৃতদের কাছে থেকে ২০০ স্ট্রিপ ব্যথার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৮৩ হাজার টাকা। পাশপাশি ৮টি নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আর কে কে এই কারবারে জড়িয়ে আছে তা দেখা হচ্ছে।