রানাঘাট শহরে এবার রাতেও হবে জঞ্জাল সাফাই, উদ্যোগী পুরসভা
বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: বাড়ছে জনসংখ্যা। ঘিঞ্জি হচ্ছে শহর। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কঠিন বর্জ্যের দাপটও। তাই শহর সাফাইয়ে এবার বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছে রানাঘাট পুরসভা। সকালের পাশাপাশি পথঘাট থেকে বর্জ্য তুলতে চালু হচ্ছে রাত্রিকালীন পরিষেবা। অর্থাৎ, দু’বেলাই রাস্তার পাশে নোংরা-আবর্জনার স্তূপ সাফ হবে চূর্ণি পাড়ের শহরে। খুশি বাসিন্দারা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শহরের ২০টি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা এই মুহূর্তে ৭৫ হাজারের বেশি। প্রতিদিন এই শহরেই ৪০ টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যারমধ্যে কিছু পচনশীল এবং কিছু অপচনশীল। প্রতিদিন পুরসভার উদ্যোগে সকালে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করেন সাফাই কর্মীরা। ২০টি ওয়ার্ডে ৯টি গাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করে। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভিসও চালু রয়েছে। এলাকায় জমে থাকা আবর্জনার ছবি পুরসভার ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে অভিযোগ করলেই তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এবার হচ্ছে নাইট সার্ভিস।
পুরসভা সূত্রে খবর, শহরজুড়ে ইতিউতি গজিয়ে উঠেছে রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং বিভিন্ন মার্কেট কমপ্লেক্স। সেগুলি থেকে কঠিন বর্জ্য রাস্তার পাশের ভ্যাট অথবা উন্মুক্ত জায়গাতেই ফেলে দেওয়া হয়। রাতে তা সাফাইয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সকালে পায়ে পায়ে ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। এই প্রবণতা ঠেকাতেই নাইট সার্ভিস চালু করছে পুরসভা। এবার থেকে প্রতিদিন রাতে শহরের পূর্ব এবং পশ্চিম দু’টি অংশেই রাস্তা থেকে রাতে কঠিন বর্জ্য সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবেন সাফাইকর্মীরা। এর জন্য তাঁদের সঙ্গে থাকবে ৩টি গাড়ি। ১টি গাড়ি রেল লাইনের পূর্বপাড়ের ৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা থেকে আবর্জনা তুলবে। বাকি ২টি গাড়ি থাকবে পশ্চিমপাড়ের ১৩টি ওয়ার্ডের জন্য। মার্কেট এলাকাগুলির পাশাপাশি জনবহুল ঘিঞ্জি এলাকা থেকেও রাতেই আবর্জনা সরানোর কাজ করবেন পুর সাফাইকর্মীরা।
শুক্রবার রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শহরের জনসংখ্যা বেড়েছে। তাই আবর্জনা উৎপাদন হওয়ার পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। কেবলমাত্র সকালে আবর্জনা সাফাই করে শহর পরিষ্কার রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা ঠিক করেছি, রাতের বেলা বিশেষ পরিষেবা দেব। বিভিন্ন মার্কেট এবং জনবহুল এলাকা যেমন জিএনপিসি রোড, বিবেকানন্দ সরণী, রথতলা থেকে আমাদের পুরসভার গাড়িগুলি আবর্জনা সংগ্রহ করবে। তবে, স্বচ্ছ শহর গড়তে আমি সকলের কাছে আবেদন জানাতে চাই, যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট ভ্যাটে ফেলুন।