দ্রুত মেরামত হবে রামকৃষ্ণ সেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানালেন পূর্তের সচিব
বর্তমান | ১৯ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: দ্রুত মেরামত হবে রামকৃষ্ণ সেতু। সেতুর গুরুত্বপূর্ণ বিয়ারিংগুলি মেরামত হবে। তার জন্য যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। শুক্রবার আরামবাগে রামকৃষ্ণ সেতু পরিদর্শন ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে এমনটাই জানালেন পূর্তদপ্তরের রাজ্যের সচিব অন্তরা আচার্য। এদিন দুপুরে পূর্তদপ্তরের উচ্চ পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞরাও আসেন। পূর্তদপ্তরের বিশেষ যানের সাহায্যে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে সেতুর উপরে দাঁড়িয়েই আলোচনা করেন আধিকারিকরা। এরজন্য এদিন সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরিদর্শন চলাকালীন একমুখী যান চলাচল করে। পরিদর্শন শেষে পূর্তদপ্তরের সচিব সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রামকৃষ্ণ সেতু উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে আছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। সেইজন্য দ্রুত মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও মাঝেমধ্যেই সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার আমরা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরিদর্শন করেছি। সেতুর মেরামতিতে প্রয়োজনীয় মতামত যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। তারসঙ্গে দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ খতিয়ে দেখে কাজ করা হবে। এজন্য প্রয়োজনে সেতুর উপর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিখুঁতভাবে সুদূরপ্রসারি ফল পাওয়ার লক্ষ্যে কাজটি হবে। তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, সেই দিকটিও আমরা নিশ্চিত করব।
আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদের উপর রামকৃষ্ণ সেতু ১৯৬৬ সালে তৈরি হয়। ফলে সেতুর বিভিন্ন অংশে ক্ষয় হয়েছে। দ্বিতীয় একটি সেতুর দাবিও তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গে পূর্তদপ্তরের সচিব বলেন, দ্বিতীয় সেতুর বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। তবে তার আগে একাধিক প্রস্তুতি রয়েছে। নদীর জলস্তর, গভীরতা দেখতে হবে। সেতুটি রাস্তার কোন অংশে যুক্ত করা হবে তা নিয়ে নকশা প্রয়োজন। তাই সেই ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু, তার আগে রামকৃষ্ণ সেতুকে আরও দৃঢ় করতে মেরামতির কাজ করা হবে।
আরামবাগের পল্লিশ্রীতে রয়েছে রামকৃষ্ণ সেতু। আরামবাগের সঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলার সংযোগ করেছে এই সেতু। বর্তমানে সেতুটি বেহাল হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েকমাস ধরে পূর্তদপ্তর সেতুর নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে। এদিনও পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরামবাগ পুরসভার কাউন্সিলার স্বপন নন্দী সহ অনেকেই। স্বপনবাবু বলেন, এদিন সেতু পরিদর্শন করেছেন উচ্চ পদস্থ কর্তারা। দ্বিতীয় সেতুর দাবি জানিয়েছি। প্রয়োজনীয় জমিও রয়েছে।