রায়গঞ্জে পণের দাবিতে বধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
বর্তমান | ২০ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: বিয়ের পর থেকেই যৌতুক নিয়ে অশান্তি। প্রায়দিন চলত শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহ। এবার মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম পিঙ্কি খাতুন(২০)। ঘটনাটি রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া ভোপালপুর এলাকায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিঙ্কির স্বামী হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবকে (৩২)। অন্যদিকে, বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর অভিযুক্ত স্বামীকে ব্যাপক মারধরের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মৃতার আত্মীয় হবিবুর সরকার।
রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ভোপালপুরে এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃতার পরিবার অভিযোগ দায়ের করার পর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার জেলা আদালতে পাঠানো হলে তিনদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে পাঠান বিচারক।
মৃতার মাসি মেহেন্দি বিবির বক্তব্য, পিঙ্কি তার দাদু, দিদার কাছে থেকে আর্থিক অনটনে বড় হয়েছেন। পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা মিলে ওর বিয়ে দেন। তারপর বছর দুয়েক কাটতে না কাটতেই পিঙ্কিকে নানাভাবে হেনস্তা করা শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পিঙ্কির পরিবার জানত না হাবিবের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন তিনি। হাবিব তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে টাকা পাঠানোর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। যা নিয়ে পিঙ্কির সঙ্গে হাবিবের অশান্তি হতো। কয়েকবার গ্রামবাসী, পরিজনরা বসে হাবিবকে সতর্ক করলেও শোনেননি। পিঙ্কি ও হাবিবের ছোট্ট সন্তান রয়েছে। সেকথা চিন্তা করে মানিয়ে নিতে বলা হয়েছিল পিঙ্কিকে।
শুক্রবার পিঙ্কির মৃত্যু হলেও পরিবার গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিল অনেকটা দেরিতে। মৃতের পরিবারের প্রশ্ন, পিঙ্কির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু পরিবারকে খবর দেওয়া হয়নি কেন?