গতকাল পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের। এই আবহে আজ চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশে সতর্কবাণী দিলেন বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার। তিনি বলেন, 'পুলিশ অফিসাররা সেখানে নিজেদের ডিউটি করছেন। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পুলিশ গত সন্ধ্যায় নিজের কাজ করতে গিয়ে আন্দোলনকারীরা ধাক্কাধাক্কি করেছেন। পুলিশকে সেখানে আটকানো হয়েছে। ভিতর থেকে তাঁরা বেরোনোর সময় আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। পুলিশকে ডিউটি করতে আটকানো হলে তা আইনসম্মত হবে না। এই ভাবে পুলিশকে ডিউটিতে বাধা দেওয়া উচিত হবে না।'
এর আগে গতকাল গভীর রাত ১টার সময় এসএসসি ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়াল পুলিশ। এই আবহে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়েছিল। এদিকে আন্দোলনস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণে মহিলা শিক্ষকও নেই বলে দাবি করা হয়। এর আগে কসবায় ডিআই অফিস অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার হয়েছিল। চাকরিহারাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ যথেচ্ছ লাঠিচার্জ করেছিল। এমনকী এক শিক্ষককে লাথি মেরেছিলেন পুলিশকর্মী। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। আর এবার এসএসসি ভবনের সামনে ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দাবি করা হয়, রাতে বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা নাকি এসএসসি ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ আন্দোলনরত শিক্ষকদের। সেই সময় পুলিশকে বাধা দেন শিক্ষকরা। চাকরিহারাদের অভিযোগ, তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই নিয়ে বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকার বলেন, 'পুলিশ একটা নিয়ম মেনে কাজ করে। আমরা আমাদের ডিউটি করছি। শিফ্টিং চলছে। আমাদের এক পুলিশকর্মী সাদা পোশাকে বেরোচ্ছিলেন। আন্দোলনকারীরা ভেবেছিলেন, উনি এসএসসির কর্মী। পরে আমরা আন্দোলনকারীদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। সমস্যা মিটে গিয়েছে। আমরা আছি এখানে। সেখানে আমাকেও আটকানো হয়েছিল। পরে মহিলা অফিসাররা সেখানে আসেন। আমাকে সেখানে ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি সামাল দিয়ে নিই। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা বিষয়টি সামলাতে আমাদের সাহায্য করেন।' পরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাদা পোশাকের এক জন পুলিশকর্মী বেরোচ্ছিলেন। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন তিনি এসএসসি কর্মী। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ সেখান থেকে আসতে যেতে পারেন, তবে কোনও এসএসসি কর্মীকে সেখান থেকে বেরোতে দেবেন না শিক্ষকরা।