পহেলগাঁও কাণ্ডে প্রতিবাদে শহরে মিছিল করতে চায় বিজেপি, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ এপ্রিল ২০২৫
পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এরা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি বলেই খবর। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। তার মধ্যে তিন জন বাংলার। একজন বিদেশের নাগরিক। বাকিরা ভারতীয নাগরিক। এই ঘটনায় গোটা দেশ শিউরে উঠেছে। এবার সময় এসেছে পাল্টা জবাব দেওয়ার। এমন পরিস্থিতিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামতে চায় বিজেপি। আর তাই আজ, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ রাসবিহারী অ্যাভিনিউ থেকে গড়িয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। মিছিলের অনুমতি পেতেই এই মামলার শুনানি চলছে।
গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ঘিরে ধরে জঙ্গিরা। তারপর ধর্মের ভিত্তিতে বেছে নিয়ে গুলি করে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। আর্তনাদ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভূস্বর্গে। উপত্যকায় লস্কর–ই–তইবার একটি শাখা সংগঠনের জঙ্গিরা এই হত্যালীলায় মেতে ওঠে। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে বরফে ঢাকা গাছপালায় ঘেরা কাশ্মীর। নিরীহ পর্যটকদের উপর গুলি চালিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয় ভারত সরকারকে। মনোরম অঞ্চলে মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পহেলগাঁওয়ে। কান্না, হাহাকার, কাকুতি–মিনতি করলেও হত্যা থেখে বিরত হয়নি জঙ্গিরা।
এই ঘটনার পরই কড়া পাঁচটি পদক্ষেপ করে ভারত সরকার। আর আজ জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়। পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, ইন্দাস জল চুক্তি স্থগিত, আটারি সীমান্ত বন্ধ–সহ নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠক পর্যন্ত ডাকা হয়। সেখানে সব দলই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে সম্মতি দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উরি এবং পুলওয়ামায় হামলার ঘটনার পর সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং বালাকোট স্ট্রাইক করা হয়েছিল। এবারও তেমন পদক্ষেপ করা হবে বলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন। তবে সেটা তাঁর অনুমান।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের আকাশে রাফালকে চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি আজই পাল্টা আঘাত হানা হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। পহেলগাঁওতে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মোমবাতি নিয়ে মৌন মিছিল করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সিপিএম ইতিমধ্যেই মিছিল করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসও জেলাগুলিতে মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটতে চায় বিজেপি।