পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ, দুই সন্তানকেও ছাড়ল না! দোষী যুবকের দশ বছরের জেলের সাজা ...
আজকাল | ৩০ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ছুরি মেরে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দশ বছরের কারাদণ্ড হল যুবকের। চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতমঙ্গলবার এই সাজা ঘোষণা করেছে। জানা গেছে, মগরা থানার বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস জুটমিল এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ পাশির সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ওই এলাকারই জ্যোতি রাজভরের।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার করত সন্দীপ। তাদের দুই ছেলে। বয়স সাড়ে তিন ও এক বছর। অভিযোগ, স্ত্রীর উপর অত্যাচারের পাশাপাশি দুই সন্তানকেও মারধর করত ওই যুবক। মাঝে মধ্যে অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে ছেলেদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেত জ্যোতি।
ঠিক সেরকমই ২০২৩ সালের ১৯ শে ফের স্বামী–স্ত্রী’র অশান্তি হয়। অভিযোগ, আচমকাই নিজের বাড়িতে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করে সন্দীপ। দুই সন্তানকেও গলায় ও বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। জ্যোতির মা নাতিদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে সন্দীপ বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশিরা চার জনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। মগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী অমিয় সিংহরায় বলেন, এই মামলায় দশ জন সাক্ষ্য দেন। হুগলি জেলে বন্দি সন্দীপ পাশি। সেখান থেকে ভার্চুয়ালী উপস্থিত থাকে সে। মঙ্গলবার আদালত তাঁকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
জ্যোতির বাবা অলোক রাজভর বলেন, আদালতের রায়ে খুশি। মেয়ে জামাই নিজেরাই পছন্দ করে বিয়ে করেছিল। অনুষ্ঠান করেই বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই পণের জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে জামাই। দুটো নাতিকেও ছাড়ত না। ঘটনার দিন নাতিদেরও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচাই ওদের।