প্লাইউডের কাজের জায়গা থেকেই আগুন ছড়ায় হোটেলে? বড়বাজারের ঘটনায় গ্রেফতার ঠিকাদার
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ মে ২০২৫
যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন না করেই কি হোটেলের ভিতর প্লাইউডের কাজ করা হচ্ছিল? তার জেরেই কি আগুন লেগে যায়? যার জন্য প্রাণ যায় ১৪ জনের! কলকাতার বড়বাজারে ঋতুরাজ হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। সংবাদমাধ্যের হাতে আসা খবর অনুসারে, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতেই আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁর নাম - খুরশিদ আলম।
জানা গিয়েছে, এই খুরশিদ আলম একজন ঠিকাদার। তিনি ঋতুরাজ হোটেলে চুক্তিভিত্তিক কাজের বরাত পেয়েছিলেন। হোটেলের দোতলায় সংস্কারের কাজ চলছিল। মূলত প্লাইউড দিয়ে সেই কাজ হচ্ছিল। সেই কাজ করছিলেন খুরশিদ। তিনি সেখানে নিজের কর্মীদের নিযুক্ত করেছিলেন। পুলিশ ও দমকলের তদন্ত অনুমান, এই দোতলাতেই প্রথম আগুন লাগে এবং দ্রুত তা হোটেলের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
অনুমান করা হচ্ছে, হোটেলে সংস্কারের কাজ করার সময় যথাযথ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হোটেলে যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিল না, সেই অভিযোগ আগেই উঠেছে। যার জন্য ইতিমধ্যেই ঋতুরাজ হোটেলের এক মালিক আকাশ চাওলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর হোটেলের ম্যানেজার গৌরব কাপুরকেও গ্রেফতার করা হয়। আর, বৃহস্পতিবার রাতে ।
জানা গিয়েছে, এই হোটেলে মোট দু'টি সিঁড়ি থাকলেও একটি সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলত,মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগার পর অনেকেই বের হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এই ভবনটি বিয়েবাড়ি হিসাবে বা যেকোনও অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হত। তখন দু'টি সিঁড়িই ব্যবহার করা হতো। কিন্তু, হোটেল করার পর একটি সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেসব খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দমকলের তরফে মামলা রুজু করা হয়েছে। আলাদাভাবে মামলা দায়ের করেছে পুলিশও। বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। ঋতুরাজ হোটেল এবং আশপাশের ভবনগুলিও ঘুরে দেখেন তিনি।