বিধান সরকার: চুঁচুড়ার কোদালিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রিয়নগর দক্ষিণ এলাকায় গতকাল, শনিবার রাতে বছর ৫৮-র সুপর্ণা ঘোষকে কুপিয়ে হত্যা করল তারই দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী উজ্জ্বল শীল। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিস। পরিবার ও স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গে প্রিয়নগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুপর্ণা। আয়ার কাজ করতেন তিনি। সেই উপার্জনেই সংসার চলত।
ঘরে ঢুকতেই
বাড়ির মালিক শুভাশিস আঢ্য জানান, রাতে হঠাৎ উজ্জ্বল শীলের শরীর খারাপ হলে তিনি বিষয়টি ফোন করে জানিয়ে দেন তাঁর স্ত্রীকে। পরের ঘটনাক্রম এরকম: কাজ থেকে ফিরে তিনি স্বামীর খোঁজ নিতে ঘরে ঢুকতেই উজ্জ্বল শীল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
রক্তাক্ত সুপর্ণা
রক্তাক্ত অবস্থায় সুপর্ণা দেবী তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলেকে ফোন করে বলেন, আমাকে কুপিয়ে দিল। এর পরই পরিবারের সদস্যরা বুড়োশিবতলা থেকে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছেন প্রৌঢ়া। খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আটক উজ্জ্বল
অভিযুক্ত উজ্জ্বল শীলকে পুলিস আটক করেছে এবং এলাকাটি ঘিরে রেখে তদন্ত শুরু করেছে। কী কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। মৃতার ছেলে ও বৌমা জানান, তাঁদের মা সংসার চালাতেন, উজ্জ্বল কিছুই করতেন না। তাঁদের মধ্যে অশান্তিও হত। সেই কথা ফোন করে সুপর্ণা বলতেন তাঁদের।