অয়ন ঘোষাল: শনিবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ বিরতি। তবে তারপরেও পাকিস্তানের দিক থেকে সেই সংঘর্ষ বিরতি লংঘন হয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাতে প্রথমবার কোনও গোলাগুলি চলেনি। এই পরিস্থিতি আজ দুই দেশের DGMO বসছেন বৈঠকে। এই পরিস্থিতিতে ভারত-পাক বৈঠক, অপারেশন সিঁদুর, সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।

আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। কী কী চেয়ে নেওয়া উচিত ভারতের এই মওকায়?

পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করবে এটা নতুন কিছু নয়। সিমলা থেকে সব চুক্তিই লংঘন করেছে। ওদের বিশ্বাস করা ঠিক নয়। ভারত যোগ্যতার সঙ্গে তার জবাব দিয়েছে। তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়া কে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, ওই একই ড্রোন আমাদের সেনা মাঝপথে ধ্বংস করে নামিয়ে দিয়েছে। আমরা কি করতে পারি আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। যুদ্ধ হবে কি হবে না সেটা নিয়ে দূরকমের মতামত আছে। পরবর্তী কি পদক্ষেপ হবে সেটা মাথায় রেখেছেন এই বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তার ওপর ভিত্তি করেই আজ কথা হবে। 

পাকিস্তানের কোণঠাসা অবস্থার সূযোগ নিয়ে ভারতের কি পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত নিয়ে নেওয়া উচিৎ?

দেশে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দেশ তৈরি ছিল। মাঝপথে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। সরকার এটা নিয়ে পরে নিশ্চয়ই কিছু বলবে। জনতা এখনও চায় বাঁশ থাকবে না বাঁশিও বাজবে না। এরকম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আজাদ কাশ্মীর আজ না হয় কাল আমাদের দখলে আসবেই। বড় বড় দেশ চাইবে না যুদ্ধ হোক। কারণ তাহলে আর্থিক মন্দা তৈরি হয়। বাজার নষ্ট হয়। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধে ইউরোপ আমেরিকা আর্থিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ভারতের মতো বড় এবং দায়িত্বশীল দেশ অনেক কিছু বিবেচনা করে এগোচ্ছে। তাই আজকের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

কংগ্রেস হঠাৎ করেই ইন্দিরার জয়গানে মুখর

ইন্দিরা গান্ধীর আগে এবং পরে কংগ্রেস অনেকগুলো যুদ্ধ করেছে। তার ফল তো দেখাই যাচ্ছে। আজাদ কাশ্মীর হল কীভাবে? সেই সময় নিয়ে নেননি কেন? সেইসময় তো চাহিদা ছিল পূর্ব বঙ্গের খুলনা যশোর জেলা আমাদের নিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কেন নেননি? তাহলে তো বাংলাদেশ ইস্যুর সমাধান হয়ে যেত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতা যুদ্ধ নিয়ে তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। অটল বিহারী বাজপেয়ী বা নরেন্দ্র মোদী যা করেছেন সেটা আগে কোনওদিনই কংগ্রেস করতে পারেনি।