গায়ে হাত না দিয়েও মনে দগদগে ঘা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। ঘুমতে না দেওয়া থেকে শুরু করে কটু কথা বলা, বাঙালি বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউয়ের মনোবল ভাঙার কম চেষ্টা করেনি পাক প্রশাসন। এমনকী, সীমান্তে কত বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে, সেই বিষয়েও পূর্ণমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পাকিস্তানে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর এমনটাই। অত্যাচার করার জন্য তাঁকে দাঁতও মাজতে দেওয়া হতো না পাকিস্তানে, সূত্রের খবর এমনটাই।

২০ দিনের বেশি পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন পূর্ণম। গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক বর্ডার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাক সেনা। ভুল করে পাকিস্তানের সীমানার মধ্যে চলে গিয়েছিলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়নি তাঁর উপরে। কিন্তু মানসিক ভাবে তাঁকে ভেঙে দেওয়ার একাধিক চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁকে পাকিস্তানের ৩টি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার মধ্যে একটি জায়গা ছিল এয়ারবেসের কাছে। কারণ উড়ানের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। এই তিনটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে চোখ বেঁধে দেওয়া হয় পূর্ণমের। একটি জায়গায় তাঁকে জেলের সেলের মধ্যে রাখা হয়েছিল। সূত্রের খবর, কোনও উর্দি পরে নয়, সাদা পোশাকেই সীমান্তে বিএসএফ সংখ্যা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পূর্ণমকে। পাশাপাশি চাওয়া হয় কিছু নম্বরও। কিন্তু পূর্ণমের কাছে ফোন না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পূর্ণমের পরিবার। তাঁর স্ত্রী রজনী বলেন, ‘ও শারীরিক ভাবে একদম ঠিক রয়েছে। তবে মনের উপর চাপ পড়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। এতদিন অন্য দেশে ছিল। তাও আবার পাকিস্তান। অনেকেই সেখানে ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে ও আমাকে এ সব নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।’