সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই সুতির নিমতিতা রেলের আন্ডারপাস কার্যত জলের তলায় চলে গিয়েছে। আন্ডারপাসে বৃষ্টির জল জমে পুকুরের রূপ নিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জল জমে থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। হাঁটু পর্যন্ত জল জমে থাকায় কার্যত ঝুঁকি নিয়েই জল ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রেল গেট বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প কোনও পথ নেই। আন্ডারপাস চালুর পর থেকেই নাকাল হতে হচ্ছে মানুষকে। রেল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ মালদহ ডিভিশনের রেলের জন সংযোগ আধিকারিক রূপা মণ্ডল বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ইতিমধ্যে আন্ডারপাসের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন থেকে মানুষ স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে।
জঙ্গিপুর রেলের ইনসপেক্টর অব ওয়ার্কস (আইওডব্লু) জ্ঞানেন্দ্র কুমার বলেন, ভারী বৃষ্টির ফলে জল জমে গিয়েছে। ইতিমধ্যে জল নিষ্কাশনও করা হয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই শেড লাগানো হবে। গত তিনদিন ধরেই অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতেও বৃষ্টি নামে। কয়েক মিনিট ধরে বৃষ্টি হয়। কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই সূতি-২ ব্লকের জগতাই ২ পঞ্চায়েতের নিমতিতা আন্ডারপাসে জল জমে গিয়েছে। আন্ডারপাসে হাঁটু পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। জল জমে থাকায় পায়ে হেঁটে যাতায়াতই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদি বাইক, টোটো থেকে ছোটো যানবাহন জল মাড়িয়েই চলাচল করছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে চলতি বছরের শুরুতেই রেল কর্তৃপক্ষ নিমতিতা রেলগেটটি বন্ধ করে দেয়। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলগেট সংলগ্ন একটি আন্ডারপাস চালু করে রেল। চালুর পথ থেকেই সামান্য বৃষ্টি হলেই আন্ডারপাসে জল জমে দুর্ভোগ বাড়ে। রেলদপ্তর অপরিকল্পিতভাবে এই আন্ডারপাস নির্মাণ করায় দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। বার বার রেলদপ্তরকে জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস পাল বলেন, পরিকল্পনার অভাব রয়েছে, রেল কর্তৃপক্ষ এর কোন সুরাহা না করলে আগামীতে আরও দুর্ভোগ বাড়বে। এ প্রসঙ্গে জগতাই ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইবনে ইদুল সাইদ বলেন, রেলের পরিকল্পনার অভাবেই এলাকাবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করেনি। কোনও শেড দেয়নি, পাম্প মেশিনও লাগায়নি। একাধিক বার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।