নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: রামপুরহাট মহকুমা থেকে দু’জন সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলার পুর এলাকার ভাড়াটেদের তথ্য জানতে সচেষ্ট হয়েছে পুলিসমহল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার কোন প্রান্তে কে বা কারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন তা ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হতে চলেছে। মূলত জেলার ছ’টি পুর এলাকা পুলিসের আতসকাঁচের তলায়। তবে গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও নজরদারি চলবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাড়াটেদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবার ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট থানাগুলি ভাড়াটিয়াদের নথি যাচাই করবে। অন্যদিকে, এই ভেরিফিকেশনের কাজে গতি আনতে সক্রিয় ভূমিকা নেবে ডিআইবি। পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, এনিয়ে ইতিমধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। প্রতিটি থানা নজরদারি শুরু করেছে। কোনও এলাকায় নতুন ভাড়াটে এলেই আমাদের তরফে ভেরিফিকেশন করা হবে।
সিউড়ি, সাঁইথিয়া সহ জেলার ছ’টি পুর এলাকাতেই বহুতলের সংখ্যা বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাড়াটের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। যদিও এই মূহূর্তে বিভিন্ন পুর এলাকার ভাড়াটেদের সঠিক তথ্য স্পষ্ট নয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ির মালিক মৌখিক আলাপচারিতার ভিত্তিতে অপরিচিত ব্যক্তিদের বাড়ি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছেন। ভাড়াটেদের নথিপত্র যাচাই করছেন না। আবার পরিচিত তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমেও বাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রেও বাড়ির মালিকের তরফে ভাড়াটেদের নথি যাচাই করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বাড়ির মালিকদের সচেতন করা শুরু হয়েছে। সক্রিয় হয়েছে প্রতিটি থানাই। সেইসঙ্গে কোথায়, কে বা কারা, কেন বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন তা জানার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। সেইসঙ্গে জেলাজুড়ে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধির উপরও নজর রাখা হচ্ছে।
জেলা পুলিস সক্রিয় হতেই সিউড়ি পুর কর্তৃপক্ষও ভাড়াটেদের নথি সংগ্রহ করতে চলেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে, ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাড়ির মালিকদের সচেতন করা হয়েছে। পুরসভার নির্দিষ্ট ফর্ম ফিল আপ করে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটের আধার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পুরসভার তরফে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের নানা প্রান্তের ভাড়াটেদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে আগামীতে সিউড়ি থানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।