উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে ‘উত্তুরে দর্পণ’ পত্রিকা প্রকাশ ময়নাগুড়িতে
বর্তমান | ২১ মে ২০২৫
সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি যেন সংরক্ষিত থাকে এবং সেটা যেন ভাবী গবেষকদের কাজে লাগে এ কথা মাথায় রেখে ময়নাগুড়িতে প্রকাশিত হল পত্রিকা। এই পত্রিকার নাম ‘উত্তুরে দর্পণ’। পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক কালীশঙ্কর রায়। কালীশঙ্কারবাবু ময়নাগুড়ি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান। অপরজন অরূপকুমার রায়। ইনি জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজ অব কমার্সের বাংলার অধ্যাপক। মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির দুর্গাবাড়িতে প্রকাশিত হয় পত্রিকা। উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী মঙ্গলাকান্ত রায় সহ প্রচ্ছদশিল্পী ও ভাষাকর্মী অর্ণব রায়, অধ্যাপক অমীয়কুমার রায়, গবেষক মইনুল হোসেন, মনোজিৎ রায়, জয়ন্তকুমার রায় সহ অন্যান্যরা।
যে পত্রিকাটি প্রকাশ করা হল সেখানে উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিভিন্ন মনীষী, দেবদেবী, পুজোপার্বণ, প্রাচীন ইতিহাস সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। ভবিষ্যতে উত্তরবঙ্গের আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় তুলে ধরা হবে পত্রিকার পরবর্তী সংস্করণে। এদিকে এই পত্রিকা যেহেতু গবেষণামূলক, সেকারণে লেখার গুণমানের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ২১ জন গবেষক ও লেখক পত্রিকায় লিখেছেন। পত্রিকার প্রচ্ছদ ও বর্ণবিন্যাস করেছেন চিত্রশিল্পী অর্ণব রায়। পত্রিকায় পদ্মশ্রী প্রাপক মঙ্গলাকান্ত রায়ের সম্পর্কেও লেখা হয়েছে। মূলত উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি-সংস্কৃতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেই এই পত্রিকার প্রকাশ বলে পত্রিকার সঙ্গে যুক্তরা সকলে জানিয়েছেন।
দুই যুগ্ম সম্পাদক বলেন, তিন মাস আগে আমাদের মনে একটি চিন্তাভাবনা আসে। বিশ্বায়নের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলি যেন সংরক্ষিত থাকে সেই চিন্তাভাবনা থেকে আমাদের একটি পত্রিকা প্রকাশ করার ভাবনা মনে আসে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় আমাদের এই যাত্রা। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেখকের সঙ্গে কথা বলা হয়। তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমাদের এই পত্রিকা পরবর্তীতে যারা উত্তরবঙ্গের কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করতে চাইবেন তাঁদের প্রচুর সুবিধে হবে বলে আমাদের আশা। এই পত্রিকা ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন পুস্তক বিপণী সহ ময়নাগুড়ি শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীনেশচন্দ্র রায়ের কাছে পাওয়া যাবে। এই পত্রিকার ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বুক নম্বর বা আইএসবিএন রেজিস্ট্রেশন নম্বর আছে। অনুষ্ঠানে পদ্মশ্রী মঙ্গলাকান্ত রায় ও দুই সম্পাদক।-নিজস্ব চিত্র