নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ছ’দিনের কর্মবিরতির পর বুধবার দুপুরে উত্তরপাড়া পুরসভার অস্থায়ী ঠিকাকর্মীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন। তারপর পুরসভা জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহরের সাফাই ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। যদিও বুধবার পুরসভা নিজস্ব কর্মী ব্যবহার করে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করানোর বেশি অন্য কিছু করতে পারেনি। বাড়ি বাড়ি সাফাই ব্যবস্থা বুধবার সকালেও চালু করা যায়নি। এই ঘটনার জেরে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মানুষকে। গত ছ’দিন সাফাই কাজ না হওয়ায় বাড়িগুলিতে কার্যত আবর্জনার স্তূপ তৈরি হয়ে যায়। বাসিন্দারা বুধবারও এ নিয়ে তীব্রভাবে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তবে এদিন দুপুরের পর আন্দোলন প্রত্যাহারের খবর শুনে বাসিন্দারা স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন।
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব এদিন বলেন, ‘আমি শহরের বাসিন্দাদের কাছে কৃতজ্ঞ। অস্বস্তিকর অবস্থাতেও তাঁরা পুরসভার পাশে থেকেছেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মীদের কাজে নামিয়ে উত্তরপাড়ার সাফাই ব্যবস্থাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব।’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ঠিকাদার সংস্থার উপরে আইনি চাপ তৈরি করছিল পুরসভা। সে চাপ গিয়ে পড়েছিল আন্দোলনকারীদের উপরেও। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের উপর রাজনৈতিক দলগুলির প্রভাব খর্ব করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। তারই জেরে আন্দোলনের অবসান হয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পুরসভার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, আন্দোলনের পিছনে পুরকর্তাদেরই একাংশের উস্কানি ও বাম রাজনীতির প্রভাব পড়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরকর্তা বলেন, ‘বামেরা এবং পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের একাংশ আন্দোলনকারীদের উস্কানি দিয়ে নাগরিকদের সমস্যা ফেলেছিলেন। বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।’
গত শুক্রবার আচমকা পুরসভার সাফাই কাজের ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি শুরু করেন। তার জেরে শহরের সাফাই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্গন্ধ আর আবর্জনায় ভরা শহরে পুরসভা বিকল্প কোনও ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারেনি। তাতে বিপুল ভোগান্তি হয় বাসিন্দাদের।