সংবাদদাতা, কালিয়াচক: ঝড়বৃষ্টির জেরে বিদ্যুত্ বিভ্রাটে রাতভর আঁধারে থাকল কালিয়াচক-৩ ব্লকের বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল। যার ফলে ভোগান্তি হয়েছে রোগী ও পরিজনদের। প্রশ্ন উঠছে, পাওয়ার ব্যাকআপ থাকলেও কেন সেটি ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত আটটা নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে বিদ্যুত্ বিভ্রাট হয়। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সিতে চার্জার দিয়ে কোনওরকমে কাজ চালাচ্ছিলেন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। মেল, ফিমেল ও অন্যান্য ওয়ার্ডে লাইট এবং ফ্যান না চলায় সমস্যায় পড়েন রোগীরা।
বিদ্যুত্ দপ্তরের বৈষ্ণবনগর স্টেশন ম্যানেজার বিপ্লব স্বর্ণকার বলেন, বুধবার রাতে ঝড়ের কারণে বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। বড় ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পেতেই এটা করা হয়। কয়েকটি জায়গায় তারে গাছের ডাল পড়ে যাওয়ায় ভোল্টেজ ওঠানামা করছিল। দপ্তরের কর্মীরা মেরামত করার পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
পরিজনদের অভিযোগ, অন্ধকার হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা বারবার নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আলো জ্বালানোর কথা বললেও তাঁরা গুরুত্ব দেননি। হাসপাতাল ভর্তি থাকা তসলিমা খাতুনের মন্তব্য, রাতে ফিমেল ওয়ার্ডে আলো ও ফ্যান চলছিল না। ঘুটঘুটে অন্ধকার ছিল পুরো ওয়ার্ডে। নার্স ও অন্য যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের ওখানেই শুধুমাত্র আলো জ্বলছিল। সারারাত বিদ্যুত্ না আসায় বাইরেই বসেছিলাম। কারণ ওয়ার্ডে প্রচুর গরম ও মশার উত্পাত ছিল।
রোগীর আত্মীয় রমজান মিঁয়ার কথায়, ডায়ারিয়া হওয়ায় কাকিমা দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি। হাইপ্রেশারও রয়েছে তাঁর। বুধবার রাত আটটা নাগাদ বৃষ্টির কারণে বিদ্যুত্ চলে যায়। হাসপাতালে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি বলে আধাঁরে থাকতে হয়েছে। ভোর প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিদ্যুত্ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সনাতন ঘোষ ও রমেন মণ্ডলদের দাবি, বিদ্যুত্ চলে গেলেই সমস্যা হয় রোগী ও পরিজনদের। লেবার রুমেও আলো থাকে না। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সিতেই বিকল্প আলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা কালিয়াচক-৩ এর বিএমওএইচ শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে হাসপাতালে জেনারেটর না থাকলেও ইনভার্টার বা পাওয়ার ব্যাকআপ রয়েছে। সেটা দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে। সব ওয়ার্ডে আলো ও ফ্যানের সংযোগ করা হয়েছে ইনভার্টার দিয়ে। কয়েকদিন আগে সমস্যা হলেও সারানো হয়েছিল সেটি। বুধবার কেন চালানো হয়নি, খোঁজ নিয়ে দেখব। টর্চ জ্বেলে হাসপাতালের কাজ। - নিজস্ব চিত্র।