এই সময়, মালদা: গতকালই শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে সীমান্তে নজরদারির শুধু বিএসএফের হাতে ছেড়ে না দিয়ে পুলিশকে দেখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সীমান্তবর্তী মালদায় ড্রোন ব্যবহারে সতর্কতা জারি করল জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।
রেস্ট্রিকটেড এরিয়া–সহ সীমান্তবর্তী জায়গায় জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি শহরেও ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। নির্দেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
মালদার ১৭২ কিলোমিটার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। নদীপথ সীমান্ত রয়েছে ৩২ কিলোমিটার। ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদা, হবিবপুর, বামনগোলা, কালিয়াচক এবং বৈষ্ণবনগর এই ছ’টি থানা সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তে সে ভাবে ড্রোনের ব্যবহার না হলেও শহরের বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইংরেজবাজার শহরের মধ্যেই রয়েছে জেলা প্রশাসনিক ভবন, আদালত চত্বর, পুলিশ সুপারের অফিস, মালদা টাউন স্টেশন, গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাস–সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবন। তাই সীমান্তের পাশাপাশি শহরেও ড্রোন ক্যামেরার উপর বিশেষ নজরদারিতে জোর দিচ্ছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।
মালদার ড্রোন অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যাঁরা ড্রোন ব্যবহার করে থাকেন, সেই সব অপারেটরদের এ বিষয়ে সতর্ক করার কথাও বলছেন তাঁরা।
এ সম্পর্কে মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘সরকারি যে নিয়ম আছে সেটা মেনেই কাজ করা হবে। তবে এই ড্রোন ক্যামেরা উড়ানোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ লোকই নিয়ম জানেন না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর জন্য অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে।’
পুলিশ সুপার জানান, বর্ডার এরিয়ায় ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র ড্রোন উড়ানো যাবে না। এ ব্যাপারে ড্রোন ব্যবহারকারী অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা করে সতর্ক করা হচ্ছে।