কোচবিহার মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগকে বিশেষ স্বীকৃতি কেন্দ্রের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৪ মে ২০২৫
কেন্দ্রের তরফে বিশেষ স্বীকৃতি পেল কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগ। ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্সের খেতাব পেয়েছে তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০১৯ সালে এই বিভাগ চালু হয়। ইতিমধ্যে উপকৃত হয়েছেন কয়েক হাজার প্রসূতি, সদ্যোজাত। স্বভাবতই এই স্বীকৃতি পেয়ে খুশি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমএসভিপি সৌরদীপ রায় বলেন, ‘এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের। প্রত্যেকে ভালোভাবে কাজ করেছেন। রোগী ও তাঁদের পরিজনদের কাছ থেকেও সহযোগিতা মিলেছে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টাতেই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।’
প্রসূতি ও নবজাতকদের চিকিৎসা হয় মাতৃমা বিভাগে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কয়েকমাস আগে এক প্রতিনিধিদল এখানকার মাতৃমা বিভাগে সমীক্ষা করে যায়। প্রথমে রাজ্য স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এই সফর সারেন তাঁরা। পরিষেবার ভিত্তিতে দেশজুড়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সম্প্রতি ফল ঘোষণা করা হয়। বুধবার শংসাপত্র এসে পৌঁছেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। কেন্দ্রের তরফে ২১ লক্ষ টাকাও দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরস্কারের টাকা মাতৃমা বিভাগে পরিষেবার কাজে লাগানো হবে।
কোচবিহার মেডিক্যালের ঝাঁ চকচকে চারতলা একটি ভবনে মাতৃমা বিভাগ রয়েছে। ২০১৯ সালে এই বিভাগ চালু হয়। ২০২৪ সালে মাতৃমায় ৯০০৯ জনের চিকিৎসা করা হয়। ৫৬০৬টি শিশুর জন্ম হয়েছে। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ২৩১৭ জনের চিকিৎসা হয়েছে। ১৫৯৭টি শিশুর জন্ম হয়েছে। কর্পোরেট ধাঁচে তৈরি করা এই মাতৃমা বিভাগের পুরোটাই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। রয়েছে দুটি উন্নতমানের লিফট। বিভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ। বাইরের জুতো পরে ভবনে ঢোকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
প্রতিদিন গড়ে ১০০ রোগী চিকিত্সাধীন থাকেন মাতৃমা বিভাগে। এই চারতলা ভবনে নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট, নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, অবজার্ভেশন ওয়ার্ড, এইচডিইউ, অপারেশন থিয়েটার হয় বেশ কয়েকটি বিশেষ ওয়ার্ড রয়েছে। চিকিত্সাধীনরা বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া কম্বল, বালিশও ব্যবহার করতে পারেন না। ভিতরে আয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কোচবিহার মেডিক্যালে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বিভাগ (মাতৃমা) তৈরি করা হয়েছে।