সিপিএমের মালদহ জেলার সম্পাদক হলেন কৌশিক মিশ্র। একসময় বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর জেলা সভাপতি ছিলেন কৌশিক। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পদেও ছিলেন তিনি। জেলা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে কৌশিক মিশ্র বলেন, ‘পার্টিকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে বিজেপি ও তৃণমূল। এই দুই দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে নিয়ে লড়াই-আন্দোলন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সিপিএম জেলা পার্টি অফিস মিহির দাস ভবনে দলের মালদহ জেলা কমিটির সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমিত দে, রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ প্রমুখ। সেই সভায় ‘অন্তর্বর্তী’ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র নতুন সম্পাদক হিসেবে কৌশিকবাবুর নাম প্রস্তাব করেন। জামিল ফিরদৌস ও মনোয়ারুল আলম সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন। সর্বসম্মতিক্রমে কৌশিক মিশ্রের নামের প্রস্তাব সভায় পাশ হয়। এরপর দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সিপিএমের মালদহ জেলা কমিটির নবনির্বাচিত সম্পাদক হিসাবে কৌশিক মিশ্রের নাম ঘোষণা করেন।
এতদিন পার্টির অন্তর্বর্তী জেলা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন অম্বর মিত্র। তিনি তিনবারের জেলা সম্পাদক ছিলেন। সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন সর্বোচ্চ টানা তিনবার সম্পাদক পদে থাকতে পারেন। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে কেউ চতুর্থবারের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারেন। অম্বর বলেন, ‘আমি তিনবারের সম্পাদক। চতুর্থবারের জন্য বুলবুলচণ্ডী সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী সম্পাদক নির্বাচিত হই। বৃহস্পতিবার সভার মাধ্যমে সকলের সমর্থনে কৌশিককে নতুন সম্পাদক করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি হবিবপুরের বুলবুলচন্ডীতে অনুষ্ঠিত সিপিএমের ২৪-তম জেলা সম্মেলনে বর্ষীয়ান নেতা অম্বর মিত্রকে অন্তর্বর্তী জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁকে মাথায় রেখে ৫২ জনের জেলা কমিটিও তৈরি হয়। তারপরই নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিশেষ বৈঠক ডেকে তাঁকে সরিয়ে জেলা সম্পাদক পদে আনা হল তরুণ নেতা কৌশিক মিশ্রকে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের ইংরেজবাজার কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত মোর্চা (বাম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট) সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হন কৌশিক। যদিও সেই নির্বাচনে তিনি জিততে পারেননি।