• রাতের আকাশে বাংলাদেশ থেকে হাসনাবাদ সীমান্তে ড্রোনের আগমন, তদন্তে প্রশাসন
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ মে ২০২৫
  • এবার হাসনাবাদের আকাশে ড্রোনের আনাগোনা। বিষয়টি নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। পূর্বে কলকাতা ও সুন্দরবনে এটা দেখা গেলেও হাসনাবাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ‘ড্রোন’-এর আবির্ভাবে যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে যান বিএসএফ আধিকারিকরা। এই ড্রোন করা ওড়াল? নেপথ্যে কি বাংলাদেশ? এই প্রশ্নই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

    ঘটনাস্থল, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদের ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কাটাখাল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে কাটাখাল সেতুর উপরে বেশ কয়েকজন যুবক বসেছিলেন। সেই সময় আচমকা বাংলাদেশের দিক থেকে থেকে পরপর তিনটি ড্রোন উড়ে আসে ভারতের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে থাকা যুবকরা তৎক্ষণাৎ সেই ভিডিও মোবাইলের ক্যামেরায় রেকর্ড করেন। এরপর ভিডিও সমেত খবর দেওয়া হয় হাসনাবাদ থানায়। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান বিএসএফ জওয়ানরা। ড্রোনগুলো কোনও নজরদারির কাজে লাগানো হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যাঘাতে সামরিক অস্ত্র হিসেবে ‘ড্রোন’ ব্যবহার করে ভারতের বায়ুসেনা বিভাগ। সেই ‘ড্রোন হামলা’র জবাবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পাল্টা ড্রোন ব্যবহার করলেও কার্যত এই প্রথম ‘ড্রোন’ যুদ্ধে ‘ড্রোনাচার্য’ হয়েছে একমাত্র ভারত। এবার সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে সাতটি ড্রোনকে হেস্টিংস, ময়দান, ভিক্টোরিয়া হয়ে জওহরলাল নেহেরু রোডের দু’টি বহুতলের উপর ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কলকাতার বন্দর এলাকা থেকে সেগুলি আসে। এরপর পাঁচটি ‘ড্রোন’ পূর্ব দিক ও দু’টি উত্তরদিকে চলে যায়। কিছুদিন আগেই কাশ্মীরে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। তারা সফল না হলেও কলকাতার আকাশে রাতে অজানা ড্রোনের এই আনাগোনা যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে লালবাজার।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)