• জলঢাকার চরে তরমুজ চাষে ব্যাপক ক্ষতি, রোগ-পোকার আক্রমণে ফলন কম, মাথায় হাত কৃষকদের
    আজকাল | ২৫ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জলঢাকা নদীর বালুচর বরাবরই তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত। বর্ষার প্রাক মুহূর্তে জলঢাকা নদীর মাঝে বালির চরে বিঘার পর বিঘা সুস্বাদু তরমুজ চাষ করে থাকেন ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি এলাকার কৃষকরা। এখানকার তরমুজ স্বাদে অতুলনীয় হলেও, গত কয়েক মরসুম থেকে দাম না মেলায় তরমুজ চাষে উৎসাহ হারিয়েছেন বহু কৃষক। প্রতি বছর এখানকার তরমুজ পাড়ি দেয় প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভুটানে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা সহ অসম, বিহার ও বিভিন্ন ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয়। আবহাওয়ার তারতম্যে প্রতিবছরের তুলনায় এবছর ফলন অনেকটাই কম। পাশাপাশি ইতিমধ্যে রোগ, পোকার আক্রমণে ক্ষতি হয়েছে গাছের। সেজন্য ফলন অনেকটাই কমেছে। যার ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে কৃষকদের। 

    গত বছর বহু কৃষক তরমুজ চাষ করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এই এলাকার অনেকে এ বছর তরমুজ চাষ করেননি। যে কয়েকজন কৃষক এবার তরমুজ চাষ করেছেন, তাঁরাও আগামীতে তরমুজ চাষ করবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কারণ যেভাবে দিনের পর দিন রাসায়নিক সার কীটনাশকের দাম বাড়ছে, পাশাপাশি আগের মতন ফলন হচ্ছে না, এর ফলে তরমুজ চাষ করলে তাঁদের যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তরমুজ চাষিরা। 

    এই পরিস্থিতিতে সরকারি বেসরকারিভাবে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তরমুজ চাষীরা। ফলন ভাল না হলে, চাহিদাও কমবে। তাঁরা চাইছেন, বিশেষ দপ্তরের তরফে তাঁদের সুপরামর্শ দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, এবারের চাষে যদি ক্ষতি হয় বা আশানুরুপ দাম না মেলে, তাহলে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা। 

    বর্তমানে স্থানীয় বাজারে দাম রয়েছে। কিন্তু ভিন রাজ্যের মাল ঢুকলেই দাম পড়ে যাবে। আর এই অবস্থাতে রোগ পোকাতে ফলন সেভাবে নেই। এক কৃষকের দাবি, প্রচুর দামি দামি ওষুধ স্প্রে করতে হয়। ধূপগুড়ি ব্লক কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন, 'তরমুজ চাষীরা সেভাবে ফলনের বিষয়ে আসেন না। আসলেও তাঁরা ওষুধ লিখিয়ে চল যান। তবে খোজ নিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
  • Link to this news (আজকাল)