‘ভালো হবে গানের গলা’, এই কথাতেই ভুলিয়ে অষ্টম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে প্রথমে ওষুধ খাইয়ে আচ্ছন্ন করা এবং তার পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গানের শিক্ষককের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে সেই ‘গুণধর’ শিক্ষক। তবে শুধু গানের শিক্ষক নয়, এই ঘটনায় তার দোসর ছিল গ্রামের ‘মোড়ল’ জগদীশ জানা। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত গানের শিক্ষকের নাম বনমালী বেরা। বয়স আনুমানিক ৬০ বছর।

শনিবার এ ঘটনায় দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। রবিবার ওই গানের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে ঘাটাল আদালতে তোলা হয়। ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। তবে বিচারক তাকে ৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। এখনও পলাতক জগদীশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের বাড়িতে গান শেখাতেন বনমালী। অভিযোগ, ছাত্রীর গানের গলা আরও সুরেলা করার অছিলায় তাকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ানো হতো। তা খাওয়ার পরে ছাত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করা হতো। আর ওই ওষুধ পৌঁছে দিত জগদীশ।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ির কারও সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছিল না। সেই সময়েই তাকে মামাবাড়িতে হাওয়া বদলের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। সঙ্গে ছিলেন তার মাও। সেখানে গিয়েই মাকে গানের স্যরের কুকীর্তি নিয়ে অভিযোগ করে নাবালিকা।

শনিবার নাবালিকার পরিবারের তরফে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। রবিবারই অভিযুক্ত গানের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খোঁজ করা হচ্ছে জগদীশের। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘মারাত্মক অভিযোগ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও খুঁজে পেয়েছি আমরা।’