প্রদীপ চক্রবর্তী, শ্রীরামপুর
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিচারে পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স স্ট্যান্ডার্ড’-এর স্বীকৃতি পেল শ্রীরামপুর পুরসভা কর্তৃক পরিচালিত মাহেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্র (ইএসওপিডি)।
পরিকাঠামো ও ১২টি বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রায় ৮৭.৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষায় জেলায় মাহেশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি, মাহেশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক এবং পুরপ্রশাসকরা।
চলতি মাসের ৭ ও ৮ তারিখ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দুই প্রতিনিধি শ্রীরামপুর পুরসভা পরিচালিত মাহেশ জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া মাহেশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিকাশরঞ্জন দত্ত ও চিকিৎসক নীলিমা ভার্মা।
এ ছাড়া ছিলেন, শ্রীরামপুর পুরসভার পুর পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) তিয়াশা মুখোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক দেবাশিস মণ্ডল,পাবলিক হেলথ ম্যানেজার চিকিৎসক মণিকান্ত ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্যকর্মী জলি মুখোপাধ্যায়, লীলা বাগ ও সবিতা ভট্টাচার্য।
ওই দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দুই প্রতিনিধির দল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে স্লাইড শো–এর মাধ্যমে জলবাহিত, পতঙ্গবাহিত রোগ ও সংক্রামক ব্যাধি সংক্রান্ত সচেতনতার বিভিন্ন দিক ও কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁর চিকিৎসার নানা দিক তুলে ধরা হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে জটিল ও কঠিন অসুখের যাবতীয় রক্ত পরীক্ষা ও ওষুধ বিলির ব্যবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রতিনিধি দল। এখানে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের সঙ্গেও কথা বলে পরিষেবার মান যাচাই করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর পুরসভার পুর পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) তিয়াশা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল আমাদের মাহেশ ইউনিটের স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। চিকিৎসা পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখেছেন। বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই হাজির ছিলেন। সবার একটা দুর্দান্ত টিম ওয়ার্ক ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই স্বীকৃতি আমাদের উৎসাহিত করবে।’
শ্রীরামপুর পুরসভার পুরপ্রধান গিরিধারী শাহ বলেন, ‘রাজ্যে পালা বদলের পরেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আমূল সংস্কার করা হয়েছে। শ্রীরামপুর পুরসভার অধীনে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নতুন ভাবে তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সব জায়গা ঘুরে দেখেছেন। তারপরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রর পরিকাঠামো, রোগীদের পরিষেবা ও রোগীদের মতামত নিয়ে তাঁরা আমাদের নম্বর দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’