পাঁশকুড়ার পুনরাবৃত্তি হাবড়ায়, বিস্কুট চুরির অভিযোগে চ্যালাকাঠ দিয়ে মেরে নাক ফাটানো হল বালকের...
আজকাল | ২৭ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিন কয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় চিপস চুরির অভিযোগ দেওয়ায় এক বালক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। ঘটনায় গোটা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। পাঁশকুড়ার পুনরাবৃত্তি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। মামুলি বিস্কুট চুরির অভিযোগে চ্যালাকাঠ দিয়ে মেরে বালকের নাক ফাটিয়ে দেওয়া হল। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার সংহতি রেল স্টেশন লাগোয়া বাজারে শচীন্দ্রনাথ দাসের একটি মুদি দোকান আছে। সোমবার বিকেলে পাড়ার একদল বালক তাঁর দোকানে বসেছিল। ওই বালকদের মধ্যে একজন দোকান থেকে একটি বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে যায়। অন্য বালকরাও তখন সেখান থেকে চলে যায়। কিন্তু কোনও কিছু বুঝতে না পেরে ১২ বছরের এক বালক দোকানের বেঞ্চে বসে ছিল। দোকানদার শচীন্দ্রনাথ ওই বালককে বিস্কুট চুরির জন্য নানারকম ভর্ৎসনা করতে থাকেন। তাকে দোকানের মধ্যে তিনি দেড় ঘন্টা আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। ওই বালক বিস্কুট চুরি করিনি বলায় দোকানদার শচীন্দ্রনাথ দোকানের সামনে থাকা একটি চ্যালাকাঠ দিয়ে তার মুখে বাড়ি মারেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বালক দোকানের সামনে লুটিয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় দোকানের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ পড়েছিল সে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাউগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকেরা ওই বালকের মাথায় সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেন।
রাতে ওই বালকের পরিবার হাবড়া থানায় আসে। হামলাকারী দোকানদার শচীন্দ্রনাথ দাসের বিরুদ্ধে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। আক্রান্ত বালকের বাবা সঞ্জয় হালদার, দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়ের পর কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত শচীন্দ্রনাথকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি বলে জানা গিয়েছে।