বাড়ি ফিরে দেখতে পাননি স্ত্রীকে, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন
বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, তপন: কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখেছিলেন স্ত্রী নেই। তাঁর অনুপস্থিতি মেনে নিতে না পেরে বচসার পর বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তপন ব্লকের ৯ নম্বর আউটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শালুকুড়ি এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম চিরকী ওঁরাও (৫০)। অভিযুক্ত স্বামী নগেন ওঁরাও পলাতক।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডপার্টির কর্মী ছিলেন নগেন। এলাকায় পুজো বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কাজ করতেন। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন। স্বামী-স্ত্রী থাকতেন বাড়িতে। সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে একটি অনুষ্ঠানে বাজনা বাজাতে গিয়েছিলেন নগেন। মঙ্গলবার সকালবেলা তিনি বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। নগেন দেখেন পাশের বাড়িতে স্ত্রী কথা বলছেন। তখনই রাগের বশে বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করেন নগেন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন চিরকী। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিসের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান নগেন।
খবর পেয়ে তপন থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, পারিবারিক কলহ এবং নেশার প্রভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় অশান্তি হতো। দুজনেরই মদ্যপানের অভ্যাস ছিল। ঘটনার দিন সকালে নগেন মাংস নিয়ে এসেছিলেন বলেও জানান প্রতিবেশী কৃষ্ণ বাকলা। তাঁর কথায়, দাদা রাতে বাজনা বাজিয়ে সকালে বাড়ি ফিরেছিলেন। বউদিকে না পেয়ে খোঁজ করতে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে তাঁর দেখা পেয়েছিলেন। সেখানেই রাগের বশে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। বউদিন মাথায় দু’টি গভীর ক্ষত ছিল।
পুলিস জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে স্বামীর খোঁজে তল্লাশি চলছে। কেন এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত চলছে।