বাংলাদেশে পদ্মায় ভেসে ওঠা ছাত্রের দেহ ফেরাল বিজিবি
বর্তমান | ২৯ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, লালবাগ: লালগোলার মৃত ছাত্রের দেহ ভেসে উঠল বাংলাদেশের পদ্মায়। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের নবাবগঞ্জের হাকিমপুর ও বালিগ্রামের মধ্যবর্তী পদ্মায় মৃতদেহ ভেসে ওঠে। এদিকে পদ্মায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের কাছ থেকে বাংলাদেশের পদ্মায় মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে খান্দুয়া বিওপির বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বুধবার বিকেলে চরডাঙাপাড়া এবং খান্দুয়ার মধ্যবর্তী জিরো পয়েন্টে বিএসএফ এবং বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর ছাত্রের মৃতদেহ বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছাত্রের মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
খান্দুয়া বিওপির বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর বিজিবি মৃতদেহ হস্তান্তর করে। এরপর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। লালগোলা থানার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সামিরুল শেখ রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের আবাসিক ছাত্র ছিল। গরমের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। রবিবার দুপুরে প্রতিবেশী সহপাঠী সুইট শেখের সঙ্গে খান্দুয়ার পদ্মায় স্নান করতে যায়। স্নান করার সময় দুই বন্ধু নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। স্থানীয়রা সুইট শেখকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও সামিরুল তলিয়ে যায়। ঘটনার পর স্থানীয় ডুবুরির পাশাপাশি বিএসএফের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হয়। পরের দিন দিনভর তল্লাশি চালিয়েও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।
ওইদিন বিকেলে একটি মৃতদেহ বাংলাদেশের দিকে ভেসে যেতে দেখেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। তাঁরাই বিষয়টি বিএসএফকে জানান। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ মৃতদেহ বাংলাদেশের পদ্মায় ভেসে ওঠে। বিজিবি মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় থানাকে হস্তান্তর করে। ওইদিন রাজশাহি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এদিকে বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দুই পক্ষই-মেলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও ছবি আদানপ্রদানের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় মৃতদেহটি লালগোলার রামচন্দ্রপুরের সামিরুল শেখের। এরপর দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে আলোচনায় বুধবার দুপুর আড়াইটায় ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো এদিন দুপুর ১টায় মৃতের পরিবারের আটজনকে নিয়ে বিএসএফ ও পুলিস জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বেলা ৩টায় মৃতদেহ বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন ভাইপোর মৃতদেহ আনতে গিয়েছিলেন আসিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএসএফের তৎপরতায় মৃতদেহ পেলাম। এবার শেষ কাজটুকু করতে পারব। বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। সেইসঙ্গে বিজিবিকেও ধন্যবাদ। নৌকায় করে বাংলাদেশ থেকে দেহ আনা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র