মদের জন্য টাকা না দেওয়াতে খুন, সিউড়িতে ধৃত অভিযুক্ত
বর্তমান | ৩১ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সুকান্তপল্লিতে যুবক খুনের ঘটনায় অবশেষে একজনকে গ্রেপ্তার করল সিউড়ি থানার পুলিস। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিসের দাবি, ধৃতই এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম আকাশ কোনাই। তার বাড়ি সিউড়ির মাল ফটক এলাকায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত হাতিয়ার উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে পুলিস। পাশাপাশি পুলিস জানিয়েছে, মদের টাকা না দেওয়া নিয়ে অশান্তির জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। এবিষয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে আদালত ধৃতকে আটদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার সাতসকালে সিউড়ি পুর এলাকা লাগোয়া তিলপাড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুকান্তপল্লিতে মিলন দলুইয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পেশায় দিনমজুর সাফাইকর্মী মিলন সিউড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদেশিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, মিলনের মুখের ডান দিকের অংশ থেঁতলানো ছিল। অন্যদিকে, অর্ধনগ্ন শরীর ও নিম্নাঙ্গে পোশাক ছিল না। ঘটনায় মৃতের পরিবারের তরফে ওইদিনই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিস প্রথমেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল। সেইসঙ্গে তদন্ত চলতে থাকে। অবশেষে বিভিন্ন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে আকাশ কোনাইয়ের হদিশ পায় পুলিস। তাকে আটক করে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, জেরার মুখে আকাশ খুনের ঘটনা স্বীকার করে নেয়। সেইসঙ্গে স্পষ্ট করে, পাথর দিয়ে থেঁতলে মিলনকে খুন করা হয়েছে। এরপরই ওইদিন রাতেই পুলিস আকাশকে গ্রেপ্তার করে। এবার ধৃতকে জেরা করে পুলিস খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত পাথর উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মিলন ও আকাশ সুকান্তপল্লি এলাকায় নির্জন মাঠে হামেশাই নেশার আসরে যোগ দিতেন। রবিবার রাতেও তারা সেখানে ছিলেন। সূত্রের খবর, মদের আসরে টাকা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছিল। আকাশ মদ কেনার জন্য মিলনের কাছে টাকা দাবি করেছিল। যদিও মিলন সেই টাকা দিতে রাজি হয়নি। ঘটনায় দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছিল। সেই বিবাদের জেরেই মিলনকে খুন হতে হয়েছে।