ফের কলকাতার হোটেলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড, দমকলের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন ৫০ জন
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জুন ২০২৫
মেছুয়াবাজারে আগুনের রেশ এখনও কাটেনি। হোটেলে ভস্মীভূত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। রবিবার মাঝরাতে দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে আগুন লাগে। রাত ১টা নাগাদ এলাকার একটি তিনতলা হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। আগুনের হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। প্রাণে বেঁচেছেন হোটেলে থাকা গ্রাহক-কর্মীরা।
জানা যায়, হোটেলে আগুনের উৎস কনফারেন্স রুম হলেও মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য ঘরে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় হোটেল চত্বর। ভিতরে তখন প্রায় ৫০ জন ছিলেন। গভীর রাত হওয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন অনেকেই। তবে আগুন লাগার পরেই হুলুস্থুল পড়ে যায় হোটেলে। সেখানে থাকা কর্মী গ্রাহকরা চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করে দেন। আগুনের জেরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে ৩টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা দেখে আরও ২টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ভিতরে ঢোকার সময়ই কালো ধোঁয়ায় বাধা পান দমকল কর্মীরা। কোনওভাবে সেখানে পৌঁছে ৫০ জনকে উদ্ধার করে দমকল। শেষমেশ প্রায় ঘণ্টাখানেকের লড়াইয়ের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে হোটেলের একাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে হোটেলের ভিতরের চিত্র রীতিমতো ভয়াবহ। আগুনের জেরে হোটেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মে মাসে বড়বাজারের মেছুয়াবাজারে ঠিক একইরকমভাবে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। সেই হোটেলের ঘরে জানলা না থাকায় ধোঁয়ার মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় অধিকাংশের। ওই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। এদিনের শরৎ বোস রোডের ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে হোটেলগুলির দুর্বল ব্যবস্থা নিয়ে।
প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেই অনুমান। তবে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল। হোটেলের সকলে নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং দমকল।