গ্রুপ C ও D শিক্ষাকর্মীদের ভাতা কেন দেওয়া হবে? রাজ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা
আজ তক | ০৪ জুন ২০২৫
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। আগামী ৯ জুন এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর। এই চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা গ্রুপ সি ও ডি-র। শিক্ষক ও শিক্ষিকারা আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন পাবেন। কিন্তু, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র কর্মীদের জন্য কোনও ঘোষণা করেনি সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সেই কর্মীদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ওয়েস্টবেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম’প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার এই ভাতা বা অনুদান দেবে চাকরি হারানো গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের। যথাক্রমে ২৫ ও ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে গেলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ যাঁরা ভাতা পাবেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে অযোগ্য রয়েছেন। তাই অযোগ্যদের কেন ভাতা দেওয়া হবে? কোন আইনে? যদি ভাতা দিতেই হয় তাহলে সবাইকে দিতে হবে। যাঁরা চাকরি পাননি বা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন, তাঁদেরও ভাতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবারই ২০২৫ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৫ জুন বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই মোতাবেক স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। ফলে আদালত অবমাননা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই মামলাটি করেছেন ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, নতুন নিয়োগ বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। ফলে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।