• EXCLUSIVE: ছাব্বিশের আগে কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, তৃণমূলে উত্তরবঙ্গের শংকর মালাকার
    প্রতিদিন | ০৪ জুন ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা: ছাব্বিশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে হাত শিবিরে বড়সড় ধাক্কা। উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের সংগঠনকে কার্যত অভিভাবকহীন করে রাজ্যের শাসকদলে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন বিধায়ক শংকর মালাকার। বুধবার তৃণমূল ভবনে দলের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সি ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেবেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর মতো দক্ষ সংগঠককে দলে টেনে উত্তরবঙ্গের পদ্মবনে ধস নামাতে নতুন করে লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    ৭০ বছর বয়সি শংকর মালাকারের রাজনীতিতে প্রবেশ কংগ্রেসি ঘরানার হাত ধরেই। উত্তরবঙ্গে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি এলাকার বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১১ থেকে ২০২১, টানা দশ বছর বিধানসভায় হাত শিবিরের হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেই সুবাদে উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশে বিশেষত তপসিলি সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন। শংকর মালাকারের হাত ধরেই সেখানে কংগ্রেসের সংগঠন এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট শক্তিশালী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে বড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিপুল সাফল্যেও উত্তরবঙ্গ সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি ঘাসফুল শিবিরের। তবে নিজের কেন্দ্রে জিততে পারেননি শংকরবাবুও। সেখানে জিতেছিলেন বিজেপির আনন্দময় বর্মন। তাই বলে সংগঠনের সঙ্গে নিবিড় যোগ এতটুকুও কমেনি।

    ছাব্বিশ ভোটের আগে শংকর মালাকার শিবির বদল করতে পারেন, এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। বুধবার সেই গুঞ্জন সত্যি হতে চলেছে। কলকাতার তৃণমূল ভবনে সুব্রত বক্সি ও অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শাসক শিবিরে যোগ দেবেন। এর আগে উত্তরবঙ্গে ঘাসফুল সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস ও গৌতম দেব। এবার শংকর মালাকারকেও সংগঠক হিসেবে কাজে লাগাতে পারে তৃণমূল। তাতে গেরুয়া গড় উত্তরবঙ্গে জোড়াফুল ফোটানোর কাজ কিছুটা সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তবে দলে শংকরবাবুর ভূমিকা ঠিক কী হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন একমাত্র দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)