এই সময়: গরমের দাপট চলছে প্রবল ভাবেই। তাই খুদে পড়ুয়াদের সূর্যের তেজ থেকে বাঁচাতে দুপুরের বদলে সকালে স্কুলে ক্লাস হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
কিন্তু তা একেবারেই পছন্দ হয়নি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। পরিণতিতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বাতিল হয়ে গেল সকালে প্রাথমিকের ক্লাসের সিদ্ধান্ত।
গ্রীষ্মের ছুটির শেষে গত সোমবার খুলে গিয়েছে রাজ্যের সরকারি ও সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত সমস্ত বিদ্যালয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অব্যাহত গরমের দাপট। বাঁকুড়া জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
এই অবস্থায় বুধবার থেকে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ছ’টা থেকে সাড়ে ১১টা (শনিবার ন’টা) পর্যন্ত ক্লাস হবে বলে সোমবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা।
পুরুলিয়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান রাজীব লোচন সোরেন আবার মঙ্গলবার থেকেই জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে পঠনপাঠন হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন।
একই ভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বুধবার থেকে প্রাথমিকে সকালে ক্লাসের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। তিন চেয়ারম্যানই সংশ্লিষ্ট জেলার সমস্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের পাশাপাশি তাঁদের বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে।
পরিস্থিতি ঘুরে যায় মঙ্গলবার বেলার দিকে পর্ষদের সচিবের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে। তাতে বলা হয়েছে, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি না নিয়েই কয়েকটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ স্কুলে ক্লাসের সময় পরিবর্তন করেছে।
এমন অনুমতি ছাড়া প্রাথমিকের ক্লাসের সময় বদল না–করতে বলা হচ্ছে। তার পরেই ওই তিন জেলার সংসদের চেয়ারম্যানরা তাঁদের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেন। তিন জনই জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই সকালে স্কুলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যস্তরের নির্দেশ মানতে তাঁরা বাধ্য।