• সাবধান! ভয়ংকর বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টির সর্তকতা, দক্ষিণের জেলায় জেলায় মেঘের তাণ্ডব...
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ জুন ২০২৫
  • অয়ন ঘোষাল: নয়াদিল্লির মৌসম ভবন ৩ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ ৭ দিন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলায় অতিরিক্ত বজ্রপাতের আগাম সতর্কতা জারি করেছে।

    কী এই মেঘ?

    এই বজ্রপাতের বাড়বাড়ন্ত একটি বিশেষ গঠনের মেঘ বা মেঘপুঞ্জের কারণে। মেঘের নাম কিউমুলোনিম্বাস। এই শব্দের অর্থ উল্লম্ব মেঘ। যার একেকটির আয়তন এমনকি ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। একাধিক উল্লম্ব মেঘ ভূপৃষ্ঠে থাকা মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে এসে শেষ পর্যন্ত আর মেঘ হিসেবে বহাল থাকতে পারেনা। ওপর থেকে ভূমিভাগের দিকে সমান্তরাল ভাবে নেমে আসে এবং বৃষ্টিপাত ঘটায়। মেঘের আয়তন অর্থাৎ দৈর্ঘ্যের ওপর বৃষ্টিপাতের পরিমান নির্ভর করে।

    বজ্রপাতের সর্তকতা

    এরকম দুই বা তার বেশি মেঘ ভূমিভাগে নামার মুহূর্তে পরস্পরের সঙ্গে ঘর্ষণে বিদ্যুৎ তৈরি করে। মেঘের উচ্চতার ওপর নির্ভর করে বজ্রপাতের প্রবণতা। কলকাতায় গতকাল এরকমই শক্তিশালী একাধিক কিউমুলোনিম্বাস মেঘ পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে মুহুর্মুহু বজ্রপাত ঘটিয়েছে। প্রতি মিনিটে শহরের কোথাও ৩ কোথাও ৫ বার বজ্রপাত হয়েছে। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত এই প্রবণতা বহাল থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে।

    বজ্রপাতের আগাম সতর্কতা প্রতিমুহূর্তে নাও কাস্ট প্রক্রিয়ায় জারি করে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গতকালও রাত সাড়ে ১২ টায় দক্ষিণের ৫ টি জেলার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বজ্রপাতের লাল সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর।

    যারা সেই সতর্কতা লক্ষ্য রাখতে পারছেন না তাদের ক্ষেত্রে মৌসম ভবন দামিনী অ্যাপ ইন্সটল এবং তার অ্যালার্ট নোটিফিকেশন অন রাখার পরামর্শ দিয়েছে।

    দামিনী অ্যাপ

    দামিনী অ্যাপ (DAMINI) গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটেরিওলজি এবং ভারতীয় আর্থ সায়েন্স অর্গানাইজেশন এই অ্যাপ তৈরি করেছে। পরিসংখ্যান বলছে ভারতে প্রতি বছর গড়ে ২০০০ মানুষ বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ৯৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু ঘটে।

    দামিনী অ্যাপ তার অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের কারেন্ট গুগল লোকেশনের ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পরিধির মধ্যে ঘটতে চলা বজ্রপাতের আগাম সতর্কতা দেয়। বজ্রপাতের ২০ থেকে ৪০ মিনিট আগে থেকেই অ্যালার্ট দিতে শুরু করে। ২০১৯ সালে এই অ্যাপ তৈরি করা হয়।

    দামিনী অ্যাপের ফাইল সাইজ মাত্র ২.৬৩ জিবি। ফোনের র‍্যামের সামান্য অংশ অকুপাই করে। ফোনের ডেটা অন রাখতে হবে। অবশ্যই জিপিএস অর্থাৎ কারেন্ট লোকেশন অন রাখতে হবে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)