বৃষ্টিতে ভেসে গেল চিলারঘাটের সাঁকো, ফালাকাটা, ধূপগুড়ির সঙ্গে একাধিক গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বর্তমান | ০৫ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: মঙ্গলবার রাতে ঝড়ো হওয়ায় সঙ্গে ভারী বৃষ্টিতে বানারহাট ব্লকের একাধিক গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বৃষ্টিতে ডুডুয়া নদীতে জলস্ফীতিতে সাধুরঘাট ও চিলারঘাটের মধ্যে সংযোগকারী বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। বুধবার সকালে নদীঘাটে এসে গ্রামবাসীরা দেখেন সাঁকো নেই। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধূপগুড়ি, বানারহাট ও ফালাকাটার মধ্যে যোগাযোগ। বাধ্য হয়ে এই তিন গ্রাম পঞ্চায়েতে যাতায়াতের জন্য গয়েরকাটা হয়ে প্রায় ৭ কিমি ঘুরে যেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ধূপগুড়ি ব্লকে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও। রাতের ভারী বৃষ্টির ফলে ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। দামবাড়ি ও বিদ্যাশ্রম ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। রাতভর বিদ্যুৎ ছিল না গ্রামগুলিতে। বারোঘরিয়ার বৌদ্ধ আশ্রমপাড়ায়ও কয়েকজনের ঘরের চাল উড়ে যায়। গাছ পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয় বাড়ির।
বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন ধূপগুড়ি বিডিও সঞ্জয় প্রধান। তিনি ব্লক প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বিডিও বলেন, যতটা সম্ভব দুর্গতদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।
বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সাঁকোয়াঝোরায় ডুডুয়া নদীর একদিকে সাধুরঘাট এবং গাদং-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে রয়েছে চিলারঘাট। প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বাঁশের সাঁকো গ্রামবাসীদের পারাপারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে করে দেওয়া হয়। নদীর একদিকে ফালাকটা ব্লকের খগেনহাট, ঢ্যাঙপারি বাজার, হরির মোড় সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ধূপগুড়ি ব্লকের মল্লিকশোভ সহ বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের জন্য ভরসা ছিল সাঁকোটি। দুই ঘাটের সংযোগকারী সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার ফলে গয়েরকাটা হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সাঁকোয়াঝোরার বাসিন্দা অতুল রায় বলেন, বর্ষা এলে আমাদের যন্ত্রণার শেষ থাকে না। নদীর উল্টোদিকে অনেকের কৃষি জমি রয়েছে। অনেক ছাত্রছাত্রী নদী পেরিয়ে মল্লিকশোভায় স্কুলে যায়। সাঁকো ভেসে যাওয়ায় এখন অন্তত সাত কিমি পথ ঘুরতে হবে। ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, সেতু তৈরি ব্যাপারে উপরমহলে প্রস্তাব পাঠাব। ডুডুয়া নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সাঁকো। - নিজস্ব চিত্র।