এই সময়: রাজ্যে রোজই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রোগীদের অধিকাংশ বাড়িতে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবু করোনায় যাতে নতুন করে কারও মৃত্যু না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বুধবার স্বাস্থ্য ভবনকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, ওই নির্দেশিকায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, আইসোলেশন বেড এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের জোগান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর), ইন্টিগ্রেটেড ডিজ়িজ় সার্ভেল্যান্স প্রোগ্রাম (আইডিএসপি) এবং দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসাররা। সেই বৈঠকের পরেই সব রাজ্যকে সর্তক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবারই করোনা আক্রান্ত সন্তোষপুরের সাত মাসের এক শিশুকে পঞ্চসায়র সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে জ্বর না কমায় মঙ্গলবার তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এ দিন রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে।
এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে এই শিশু-সহ তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে দু’টি শিশুকে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, প্রবীণ এবং শিশুদের করোনার রিপোর্ট সবচেয়ে বেশি পজ়িটিভ আসছে। তবে টেস্টের হার অনেকটাই কম।
মূলত প্রবীণরাই করোনার টেস্ট করাতে আসছেন বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। রাজ্যে এখন প্রতিদিন যত করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে তা নয়। যাঁরা ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের বেশির ভাগই বয়স্ক এবং তাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়েছে বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৪৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে চিহ্নিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০। যা দেশে একদিনে চিহ্নিত রোগীর (অ্যাক্টিভ) সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আবার গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি উদ্বেগের নয়। তবে যাঁদের সুগার, হাই প্রেশার বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের সতর্কতা মেনে চলা উচিত।’ এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩০২।