আমেরিকার সঙ্গে গত তিন বছর ধরে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নিয়ে কথা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, গতবছর সেপ্টেম্বরে নবান্নে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার তার এক ঝলক দেখা গেল। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বিশেষ বৈঠক সারলেন মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস-ডিয়াজ। উল্লেখ্য, বাংলায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন নিয়েই মার্কিন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। রাজ্যের আধিকারিকদের তিন বছরের পরিশ্রমের ফল হিসাবে আমেরিকার সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে ভারতের। কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির কথা হয়েছে।
একে ‘বাংলার বড় প্রাপ্তি’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকারের সঙ্গে সম্প্রতি আমেরিকার দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই এবার গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ নামক সংস্থা আসছে কলকাতায়। এটি একটি প্রধান সেমিকন্ডাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থা, যারা মাইক্রোচিপ তৈরি করে যা স্মার্টফোন, কম্পিউটার, গাড়ির মতো ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। ক্যাথি জাইলস-ডিয়াজের সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সল্টলেকে ১৩ হাজার বর্গফুট জায়গা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জন্য বরাদ্দ করেছে। আরও প্রায় ১৯ হাজার বর্গফুট জায়গা তারা চেয়েছে, যা প্রক্রিয়াধীন বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ কলকাতা পাওয়ার সেন্টারে ডিজাইন, টেস্টিং ইত্যাদির জন্য একটি ‘ফ্যাবলেস’ কেন্দ্র গড়ে তুলতে চলেছে। তবে কেন এই উৎপাদন?