• সংস্কার হল খাল, জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেল ব্যান্ডেলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা...
    আজকাল | ০৬ জুন ২০২৫
  • মিল্টন সেন,হুগলি: ব্যান্ডেলের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণ হল। আগে অল্প বৃষ্টিতেই প্লাবিত হত এলাকা। বিগত কয়েক বছর রসভরা খাল হয়ে উঠেছিল ব্যান্ডেলের মানুষের দুঃখের কারণ। ফি বছর বর্ষা এলেই খাল উপচে জলমগ্ন হত বিস্তীর্ণ এলাকা। সরকারি উদ্যোগে এবার সেই দুঃখ কমল। খালের আবর্জনা পলি সংস্কার করা হল।

    ব্যান্ডেল জিটি রোড থেকে ব্যান্ডেল চার্চ সামনে গঙ্গায় গিয়ে মিশেছে। হুগলি চুঁচুড়া শহরের উত্তরদিক এবং ব্যান্ডেলের প্রধান নিকাশি এই রসভরা খাল। দীর্ঘ সময় ধরে খালে আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি পলি জমে প্রায় বন্ধ হয়েছিল নিকাশি। এতটাই পুরু স্তর জমেছিল খালের উপর দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যেত। গরু ছাগল চড়ত অনায়াসে।

    সংস্কারের দাবি ছিল স্থানীয় মানুষের। পুরসভার তরফেও সেই খাল সংস্কার করার চেষ্টা করা হয়েছে। খাল সংস্কার করা না হলে ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটা বড় অংশ বর্ষার জলে ডুবে থাকত। একইসঙ্গে বর্ষার জলে প্লাবিত হয়ে থাকত চুঁচুড়া পুরসভার চার, পাঁচ, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা।

    সম্প্রীতি হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার তরফে খাল সংস্কারের বিষয়ে কেএমডি-এর কাছে আবেদন করা হয়। সংস্কার খাতে সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। গত পঁচিশ দিন ধরে রসভরা খাল সংস্কারের কাজ চলে। উপরের আবর্জনার স্তুপ সরানোর পাশাপাশি দেড় ফুট পলি কেটে তোলা হয়। যার ফলে নদীর স্রোতের মত জল প্রবাহিত হতে শুরু করে। বর্ষার আগে খুশি এলাকার বাসিন্দারা।

    আগে সামান্য বৃষ্টিতেই বাড়িতে  জল ঢুকত। মশা-মাছির উপদ্রব হত। রাস্তায় জল জমে থাকত। জল নামতে অনেক সময় লাগত। সংস্কারের পর আর সেটা হবে না। এই প্রসঙ্গে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের পুরপারিষদ জয়দেব অধিকারী জানান,এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিল। পুরসভাও ওই এলাকার নিকাশি নিয়ে চিন্তায় ছিল। কেএমডিএ র সহযোগিতায় সেই চিন্তা আপাতত দূর হল। তবে আগামীদিনে ওই খাল থেকে আরও কিছুটা পলি তুলতে হবে। পাশাপাশি এলাকার মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। লেপ তোষক বালিশ বাড়ির যা কিছু উচ্ছিষ্ট সবই খালের মধ্যে ফেলা বা নিকাশি ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও শহরের আরও কয়েকটি জায়গা নিকাশি ব্যবস্থার কাজ করা হয়েছে। তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং আট নম্বর ওয়ার্ডের নীচু এলাকা গুলোর নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হলে বড় পরিকল্পনা নিতে হবে। আপাতত বৃষ্টিতে জল জমলে সেই জল নিকাশির জন্য পুরসভা পাম্পের ব্যবস্থা করেছে।

    বর্ষার আগে শহরের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে বলে আশা করা যায়।
  • Link to this news (আজকাল)