তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের এমপি মহুয়া মৈত্র বিজু জনতা দলের (বিজেডি) বিখ্যাত নেতা এবং পুরী থেকে চারবারের এমপি পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। জার্মানিতে বার্লিনের প্রাসাদের ছাদে বিয়ের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় নেতাই এই সম্পর্কটি এতদিন সম্পূর্ণ গোপন রেখেছিলেন। এমনকি দলের অভ্যন্তরীণ সদস্যরাও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। এই গোপন বিয়ের খবর অনেকের জন্য একটি চমক হিসেবে এসেছে, এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরাও দাবি করেছেন যে তারা এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না।
এটি মহুয়া মৈত্রের দ্বিতীয় বিয়ে। তিনি আগে ডেনিশ অর্থনীতিবিদ লার্স ব্রসনকে বিবাহ করেছিলেন। পরে আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন। জয় অনন্ত দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কটি তিক্তভাবে শেষ হয়, যা অভিযোগ এবং আইনি সমস্যায় পরিণত হয়। পরে মহুয়া ২০২৩ সালের শেষের দিকে সংসদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার সময় একটি বিতর্কে দেহদ্রাইকে ‘বিরক্ত প্রাক্তন’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
জার্মানি থেকে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে মহুয়া মৈত্র সোনালি গহনা পরে হাসছেন, সঙ্গে পিনাকী মিশ্র। তাঁদের সংশ্লিষ্ট দলের পক্ষ থেকে কোনো অফিশিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রের একজন সহকারী, যিনি তাঁর নাম উল্লেখ করতে চাননি, তাঁদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মহুয়া মৈত্র, যিনি তাঁর উগ্র বক্তৃতা এবং সংসদে তীব্র বিরোধিতার জন্য পরিচিত, পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর থেকে দুইবার লোকসভা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাক্তন বিনিয়োগ ব্যাঙ্কার, যিনি পরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন, সেই মহুয়া মৈত্র শাসক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অবিচল সমালোচক হিসেবে একটি খ্যাতি অর্জন করেছেন।
তাঁর নতুন স্বামী, পিনাকী মিশ্রও রাজনীতিতে বিশেষ পরিচিত। ১৯৫৯ সালে তার জন্ম, মিশ্র ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ব্রজ কিশোর ত্রিপাঠীকে পরাজিত করে সংসদীয় যাত্রা শুরু করেন।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে বিখ্যাত, মিশ্রের রাজনৈতিক এবং আইনগত ক্যারিয়ার প্রায় তিন দশকের। তিনি প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে পুরী থেকে সাংসদ হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। পরে তিনি বিজেডি-তে যোগ দেন এবং ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পুরী থেকে জিতেছিলেন বিজেডির হয়ে।