মিল্টন সেন, হুগলি: ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা একই পরিবারের তিনজনের। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হলেও, দু'জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
গত ২৮ মে চন্দননগর কলুপুকুর ভাগারধারে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঋণের দায়ে স্ত্রী এবং মেয়েকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছিলেন গৃহকর্তা। আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চন্দননগরে। এ বারের ঘটনা ঘটেছে চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায়। ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল বাবা মা মেয়ে। বৃদ্ধ দম্পতি একেন্দ্র নাথ দাস(৮৭), সুনীতা দাস(৮৩) এবং তাঁদের মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাস(৪৩)। শুক্রবার সকালে অচৈতন্য অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তিনজনকে। চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বৃদ্ধ এবং তাঁর মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনিজানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে কাজ করার কেউ নেই। সংসারে অনটন। তাই তিনজন একসঙ্গে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। আত্মীয় আরণ্যক দাস বলেন, 'সুনিতা দাস তাঁর পিসি হন। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি পিসি, পিসেমশাই ও দিদিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। পিসির মৃত্যু হয়েছে।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাস পরিবার এলাকায় খুব একটা মেলামেশা করত না। তিনদিন আগে শেষ বার বৃদ্ধকে বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছিল। প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, এক সময় এই পরিবার খুবই বিত্তশালী এবং স্বচ্ছল ছিল। এলাকায় বেশ নামডাক ছিল। কোলিয়ারী ব্যবসা ছিল। বর্তমানে চরম আর্থিক অনটনে দিন কাটছিল। তা থেকেই মানসিক অবসাদের জেরে তাঁরা সপরিবারে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।