ফের বোমা উদ্ধার বীরভূমে। পাড়ুই থানার অন্তর্গত আহমদপুর পঞ্চায়েতের সেকমপুর থেকে জিনাইপুর যাওয়ার রাস্তায় ঝোপের ধারে উদ্ধার হয় ১২টি বোমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। পরে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা এসে এই বোমা গুলি নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এই বোমা সেখানে মজুত করেছিল, এছাড়াও এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে আরও কোথাও বোমা বা অস্ত্র মজুত রয়েছে কিনা তা জানতে। পাশাপাশি সমগ্র থানায় এলাকাতেই দুষ্কৃতীরা ঘাঁটি গেড়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২৬-এর রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বারবার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য বীরভূমের একাধিক এলাকায় প্রায় প্রতিনিয়ত মুড়ি মুড়কির মতোই বোমা, অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের বহু আগে থেকেই যেভাবে একের পর এক বীরভূমে বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে তাতে কিন্তু প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। অন্যদিকে, আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীর মনেও। এইভাবে রাস্তার পাশে থাকা বোমাগুলি যদি কোনওভাবে ফেটে যেত তাহলে কী বড়সড় বিপদ হত তা ভেবেই কার্যত শিউরে উঠছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বীরভূমের রামপুরহাট-দুমকা রাস্তার বনহাট গ্রামের কাছে হাজরাকোলা পুকুরের পাড়ে প্লাস্টিকের বালতিতে ভরে রাখা ছিল ১০ তাজা সকেট বোমা। এলাকার বাসিন্দারা বোমাগুলি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাগুলি উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। তবে কে বা কারা, কোন উদ্দেশ্যে ওই জায়গায় বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল, সেই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।
শুধু রামপুরহাটেই নয়, জেলার ইলামবাজার থানার দেলোরা গ্রামেও একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৯টি তাজা বোমা। সেই ঘটনাকে ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বম্ব স্কোয়াডকে দিয়ে বোমগুলিকে নিষ্ক্রিয়ও করা হয়। ওই জায়গাতও কে বা কারা বোমাগুলি রেখে গিয়েছে, সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইলামবাজার থানার পুলিশ। তবে আগামী বছর যেখানে রাজ্যে ভোট, সেখানে তার আগে এই ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে জেলাবাসীর মধ্যে।