মেসোমশাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ানোর অভিযোগ। পরিবারের লোকজন জানার পরই চরম সিদ্ধান্ত দশম শ্রেণীর ছাত্রীর? শনিবার সকালে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ল আমতা থানা এলাকায়। অভিযোগ, মাসির মৃত্যুর পর মেসোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল নাবালিকা। দু’জনে বিয়ে করবে বলে ঠিকও করেছিল। এর পর পরিবারের লোকেরা সেই সম্পর্কের কথা জানতে পারে। সূত্রের খবর, নাবালিকার পরিবার এই সম্পর্কে রাজি হয়নি। এর পরই চরম সিদ্ধান্ত নেয় দশম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার সকালে ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আমতা থানার পুলিশ।

পরিবার সূত্রের খবর, দু’মাস আগে নাবালিকার মাসি মারা যান। এর পর দুই পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে। সেই সময়ে মেসোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য নাবালিকাকে তার মেসো একটি মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে কথা হতো।

নাবালিকার পরিবার জানিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে নাবালিকা তার পরিবারকে জানায়, সে মেসোকে বিয়ে করবে। মেসোর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। নাবালিকা যাতে তার মেসোর সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পরিবারের লোকেরা তার মোবাইল কেড়ে নেয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার নাবালিকার মা, বাবা ও ভাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে নাবালিকা তার দাদু ও পরিবারের অন্য লোকেদের সঙ্গে বাড়িতে ছিল। রাতে একাই শুয়েছিল ওই নাবালিকা। পরদিন সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। নাবালিকার ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমতা থানার পুলিশ।

নাবালিকার বাবা বলেন, ‘ওর মাসি মারা যাওয়ার পর থেকে নিয়মিত মেসোর সঙ্গে কথা বলত। ওর মেসো ওকে একটা ফোন কিনে দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের একবারের জন্যও কারও মাথায় আসেনি, মেসোর সঙ্গে ওর সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।’