সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ শ্মশান ঘাটে দেহ সমাধিস্থ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে সন্দেহের বাতাবরণ। এমনিতে নবদ্বীপ শ্মশানঘাটে বিশেষ ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য সমাধিস্থ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ওই সমাধি স্থানের পাশে দু’টি গর্ত দেখতে পান সমাধিস্থ করতে আসা মৃতের পরিবারের লোকজন। তারপর তাঁরা বিষয়টি ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানান। তাঁদের অভিযোগ, ওই গর্ত থেকে দু’টি মৃতদেহ চুরি হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মাঝরাতে উত্তেজনা ছড়ায় নবদ্বীপ শ্মশান ঘাট এলাকায়। এমনকী বিষয়টি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় প্রথমে। পরে গোটা বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে যান নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তেওয়ারি। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে আজ থেকে সর্বক্ষণের জন্য সমাধি স্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নবদ্বীপ শ্মশানঘাট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নবদ্বীপ শ্মশান ঘাট কর্তৃপক্ষ অভিযোগে জানায়, গত ৭ জুন আনুমানিক রাত দু’টো নাগাদ কোতোয়ালি থানার আমঘাটা থেকে একটি মৃতদেহ নবদ্বীপ শ্মশান ঘাটে সমাধিস্থ করতে নিয়ে আসা হয়। এরপর মৃতদেহ সমাধিস্থ করার পর তাঁরা জানান, সমাধি স্থানে দু’টি গর্ত থেকে কে বা কারা মৃতদেহ চুরি করেছেন। নবদ্বীপ শ্মশান ঘাটের শিফট ইনচার্জ মানব সাহা বলেন, গতরাতে আমাদের বিষয়টি জানানো হয়। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি দুটো গর্ত খোঁড়া রয়েছে। কে বা কারা অসৎ উদ্দেশ্যে গর্ত করে রেখেছে। তবে ওই গর্ত থেকে সমাধিস্থ কোনও মৃতদেহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, তা আমরা বলতে পারব না। তৎক্ষণাৎ আমরা বিষয়টি নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান এবং থানাতে জানাই। ওই রাতেই পুলিস ঘটনাস্থলে চলে আসে। আজ থেকে শ্মশান ঘাটে পুলিস পিকেটিং বসেছে।
নবদ্বীপ থানার আইসি জলেশ্বর তেওয়ারি বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাই। যথারীতি দু’টি গর্ত দেখা যায়। এরপর ঘাট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দায়ের করতে বলি। অভিযোগ পাওয়ার পর চুরির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এমনকী ওই সমাধিস্থলে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।