ওয়াজাহাত খানকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই গুরুগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শর্মিষ্ঠাকে। সোমবার সেই ওয়াজাহাতকে আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা থেকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ।

শর্মিষ্ঠা পানোলির গ্রেপ্তারির পরেই কলকাতার গল্ফ গ্রিন থানায় ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়। এফআইআর দায়েরের পর পুলিশ তাঁর গার্ডেনরিচের বাড়িতে তিনটি নোটিশ পাঠায়। থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু ১ জুন থেকে তিনি পলাতক ছিলেন বলে অভিযোগ।

এর পরেই ওয়াজাহাতের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে দিঘা ও হাওড়ায় অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। অবশেষে এ দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার তিন তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে ওয়াজাহাতকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ।

কলকাতার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্য দিকে, ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ সম্প্রদায়কে নিয়ে অবমাননাকর এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন ওয়াজাহাত খান।