• তড়িঘড়ি ইউএসজি যন্ত্র পৌঁছলেও নেই পরিষেবা
    এই সময় | ১০ জুন ২০২৫
  • এই সময়, খড়্গপুর: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে পাঠানো হয়েছিল ইউএসজি মেশিন। কিন্তু তার পরেও চালু হলো না যন্ত্র। হাসপাতালে যন্ত্রটি পৌঁছনোর পরে দেখা গিয়েছে, তার বিভিন্ন অংশ খারাপ। কবে থেকে চালু হবে ইউএসজি পরিষেবা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল।

    বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ইউএসজি মেশিন না-থাকায় সেখান থেকে কিছু দূরে এক বেসরকারি পরীক্ষাগারে ইউএসজি করতে যেতে হতো রোগীদের। অবশ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থাকায় রোগীদের ইউএসজির খরচ জোগাত সরকারই।

    ৩০ মে এক প্রসূতি হাসপাতালে যাওয়ার পরে তাঁকে ইউএসজি করাতে বলেন চিকিৎসকরা। বাইরে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার সময়ে কেশিয়াড়ি মোড়ে থাকা রেললাইনের উপরে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট পড়ে যায়।

    দীর্ঘক্ষণ সেখানেই আটক থেকে টোটোতেই প্রসব করেন মহিলা। পরে সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ইউএসজি মেশিন থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না, দাবি স্থানীয়দের। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও ইউএসজি মেশিন নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

    এই ঘটনার পরে ওই হাসপাতালে তড়িঘড়ি একটি ইউএসজি মেশিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে থাকা দু’টি ইউএসজি মেশিনের মধ্যে একটি পাঠানো হয় বেলদায়। তা পৌঁছতে খুশিও হন সবাই।

    কিন্তু, সেটি চালাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, তার স্ক্রিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে কিছু বাটনও। এ ছাড়াও আরও কিছু যান্ত্রিক সমস্যা রয়েছে। এককথায় মেশিন এলেও তা বিকলই। এই ঘটনার পরে ফের হতাশা নেমে এসেছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়–পরিজনদের মধ্যে।

    হাসপাতাল সূত্রের খবর, শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে গাড়িতে করে বেলদায় নিয়ে আসার সময়ে ঠোকাঠুকিতে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    বেলদার ব্লক মেডিক্যাল অফিসার আশিস মণ্ডল বলেন, ‘যে সংস্থা থেকে যন্ত্রটি কেনা হয়েছিল, তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এসে যন্ত্রটা সারিয়ে দিলে ইউএসজি পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।’

  • Link to this news (এই সময়)