আগামী ২৭ জুন রথযাত্রা। ওই দিনই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রথের দড়িতে প্রথমবার টান পড়বে। তার আগে সেজে উঠছে দিঘা। ‘মাসির বাড়ি’ ও তার আশপাশ নব কলেবরে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। রথযাত্রার দিন আলাদা আলাদা রথে চেপে মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে রথ তৈরির কাজ। দিঘায় উপস্থিত থেকে এ বারের রথযাত্রার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ওল্ড দিঘার সমুদ্রসৈকতে পুরনো জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণকে ‘মাসির বাড়ি’ হিসেবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার থাকার জন্য নয়নাভিরাম একটি নাটমন্দির তৈরির কাজ চলছে। নাটমন্দিরটি হালকা গোলাপি রঙের। তার দেওয়ালে সুন্দর সুন্দর কারুকাজ করা হয়েছে। নাটমন্দিরের দরজায় ঝুলছে বড় বড় দুটো পিতলের কড়া। মেঝে শ্বেতপাথরে বাঁধানো। মূল সড়ক থেকে ‘মাসির বাড়ি’ যাওয়ার রাস্তা আগের তুলনায় অনেক চওড়া হয়েছে। যে সব রাস্তা কাঁচা ছিল সব পাকা করে দেওয়া হয়েছে। প্রবেশপথে চৈতন্যদ্বারের আদলে সুউচ্চ ফটক তৈরি হচ্ছে। পুরনো জগন্নাথ মন্দিরের কাছে রথ রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁধানো চাতাল। আশপাশ ঢেকেছে সবুজ ঘাসের চাদরে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ‘মাসির বাড়ি’তে ভিড় সামলানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন।
আগামী ২৭ জুন মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে দিঘার রথযাত্রার সূচনা হবে। সোনার ঝাঁটা দিতে রাস্তা পরিষ্কার করবেন তিনি। তারপরই এগোবে রথের চাকা। ওই দিন রথে চেপে মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা। ৫ জুলাই উল্টো রথে ফের মন্দিরে ফিরবেন তাঁরা। শাস্ত্র মতে, দেবী লক্ষ্মীর বাধা পেয়ে ওই দিন নিজেদের ঘরে ঢুকতে পারবেন না তিন ভাইবোন। ৬ এবং ৭ জুলাই রথে চেপেই তাঁরা ভক্তদের দর্শন দেবেন। তারপরে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা।