• ১ কোটি ৩৫ লক্ষ বাড়িতে জগন্নাথের মহাপ্রসাদের জন্য কলকাতা থেকে দীঘায় পৌঁছল ৩০০ কেজি ক্ষীর! কবে পাবেন প্রসাদ?
    ২৪ ঘন্টা | ১০ জুন ২০২৫
  • কিরণ মান্না: রাজ্য জুড়ে দীঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ (Mahaprasad of Jahannath Dev) বিতরণের কর্মসূচির প্রক্রিয়া এবার শুরু হয়ে গেল। দীঘার জগন্নাথমন্দিরে (Digha Jagannath Temple) ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে ৩০০ কেজি বিশুদ্ধ খোয়া ক্ষীর পৌঁছেছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবতার কাছে রাজভোগ, ক্ষীরভোগ অর্পণ করে প্রসাদবিতরণ-প্রস্তুতি শুরু ১ কোটিরও বেশি পরিবারের জন্য। প্রায় অবিশ্বাস্য এক কর্মযজ্ঞ। 'প্রসাদের স্বাদেই মিলবে ভক্তির ছোঁয়া'-- এই আশ্বাসেই শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক এই কর্মসূচি।

    ১ কোটি ৩৫ লক্ষ

    রাজ্য জুড়ে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষের ঘরে ঘরে দীঘার জগন্নাথমন্দিরের প্রসাদ পৌঁছে দিতে দীঘার জগন্নাথমন্দির থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। দীঘা জগন্নাথধাম ট্রাস্টি সদস্য ও কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস জানিয়েছেন কলকাতা থেকে ইতিমধ্যে দীঘায় এসে পৌঁছেছে ৩০০ কেজি বিশুদ্ধ খোয়া ক্ষীর। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই ক্ষীর নিবেদন করা হয় জগন্নাথদেবের চরণে।

    ১৭ জুন থেকে

    আগামী ১৭ জুন থেকে এই প্রসাদী পবিত্র ক্ষীরভোগের মিশ্রণের গজা ও পেড়া তৈরি প্যাকেট পৌঁছে যাবে বাংলার প্রতিটি বাড়িতে, ঘরে-ঘরে, প্রতিটি মানুষের হাতে। প্রসাদ তৈরির জগন্নাথধামের এই ক্ষীর পৌঁছে যাবে জেলার মিষ্টির দোকানগুলিতে। সেখানে তৈরি হবে গজা, পেড়া-সহ নানা মিষ্টি। এরপর তা সিল করা প্যাকেটে ভরে পাঠানো হবে রাজ্যের প্রতিটি কোণে।

    'প্রসাদী ক্ষীর'

    তবে এই উদ্যোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'এটি আদৌ মন্দিরের প্রসাদ নয়, বরং এ একপ্রকার সরকারি প্রচার।' যদিও ট্রাস্ট ও সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, এটি 'প্রসাদী ক্ষীর' মিশিয়ে তৈরি বিশুদ্ধ প্রসাদ। 'প্রসাদের স্বাদেই মিলবে ভক্তির ছোঁয়া'-- এমন আশ্বাসেই শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক এই কর্মসূচির যাত্রা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)