অয়ন ঘোষাল: এ কোন দিলীপ ঘোষ? এই দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) চেনা দুষ্কর! ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াক শেষ করে একের পর এক বিস্ফোরক কথা বলে শিরোনাম তৈরি করা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে এই দিলীপ ঘোষের মিল খোঁজা ও মিল পাওয়া দুষ্কর। দলের শীর্ষ নেতা সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী, সবাই বলছেন, দিলীপ ঘোষ দলেই আছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ৩০ এপ্রিল দীঘায় জগন্নাথ মন্দির দর্শনের পর থেকেই দলের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব হু হু করে বেড়েছে বলে কোনও কোনও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন।
দলের সঙ্গে দূরত্ব, দিলীপ ঘোষের মুখে কুলুপ!
যদিও তারপরেও মে মাসের যতগুলো দিন নিউটাউনে ছিলেন এবং ইকোপার্ক এসেছেন, প্রতিদিন নিয়ম করে কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। কিন্তু ১ জুন থেকে আমূল ভোলবদল। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আর কোনও কথা বলবেন না। জানিয়ে দিয়েছিলেন। এদিন মঙ্গলবার সেকথা-ই আরও একবার পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে। কিন্তু কেন? প্রশ্ন করতেই দিলীপ ঘোষ যেন একেবারে 'অচেনা' মানুষ!
দলে সাংগঠনিক রদবদল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অতীতের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একসময় জাতীয় সহ সভাপতি হয়েছেন। তারপর লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সাংসদ হয়েছেন। আবার হেরেও গিয়েছেন। সেই থেকেই দলের কোনও কর্মসূচিতে আর ডাক পান না। নিজেই নিজের কর্মসূচি তৈরি করে মানুষের পাশে থাকেন, এমন কথাও বলতে শোনা গেছে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিককে। তাঁর ডাকাবুকো মন্তব্যের জন্য রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিতি দিলীপ ঘোষের।
ফুল পাড়তে ব্যস্ত দিলীপ ঘোষ!
সেই দিলীপ ঘোষের মুখে এইভাবে তালা ঝুলে যাওয়ার নেপথ্যে কারণটা কী? প্রশ্ন করতেই কোনও উত্তর না দিয়ে মুচকি হেসে হঠাৎ গাছ থেকে ফুল পাড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন অজানা অচেনা দিলীপ ঘোষ! এও কি কোনও ইঙ্গিত? বিজেপি, তৃণমূল... দুই-ই তো 'ফুল' শিবির! পদ্মফুল, ঘাসফুল... তবে কি এবার 'ফুল' বদলাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ? মুখে না বলে যার ইঙ্গিত দিলেন কাজে... 'ফুল পাড়া'য়? উত্তর লুকিয়ে সময়ে...