সংবাদদাতা, কান্দি: সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে খাদ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে। বুধবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের কিষান মান্ডিতে এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখালে ধান কেনা বন্ধ করা হয়। পরে সেখানে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা তদন্তে আসেন। যদিও জেলা খাদ্যদপ্তরের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধান কেনায় কোনও অনিয়ম হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বড়ঞার কিষান মান্ডিতে কিছু ফড়ে ও চাষি ট্রাক্টরে করে ধান এনে জড়ো করেন। এর পরপরেই সেখানে দু’টি ট্রাক এসে দাঁড়ায়। তড়িঘড়ি স্লিপ দেখে ধান কেনা শুরু করেন এক মিল মালিক কর্মচারী ও খাদ্যদপ্তরের এক কর্মী। দু’টি ট্রাকে ধান লোডও করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সেখানে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ধান কেনার কাজে বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সাগরদিঘি ও হরিহরপাড়া ব্লকের চাষিদের নাম করে এখানে গোপনে ধান কেনা হচ্ছিল। অথচ বড়ঞা ব্লক এলাকার চাষিরা সহায়ক মূল্যের ধান বিক্রি করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওই ঘটনার জেরে সেখানে সাময়িকভাবে ধান কেনার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সেখানে পৌঁছন কান্দি মহকুমা খাদ্য নিয়ামক দপ্তরের এক কর্মী। যদিও ওই কর্মী আসার সামান্য আগে একটি ট্রাক ধান লোড করে রওনা দিয়েছিল। একটি ট্রাকে অর্ধেক ধান লোড হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খাদ্যদপ্তরের কর্মীদের তীব্র বাদানুবাদ হয়। খাদ্যদপ্তরের কর্মী এদিনের মতো ধান কেনা স্থগিত করে দেন। বিক্ষোভকারী বাপন শেখ বলেন, আমরা জানতে পারি এখানে ধান কেনায় কারচুপি হচ্ছে। সেই মতো আমরা এখানে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করি। ঘটনার কথা বড়ঞা বিডিওকেও জানানো হয়েছে। অপর বিক্ষোভকারী তথা কংগ্রেসের বড়ঞা ব্লক সভাপতি আজাদ মল্লিক বলেন, খাদ্যদপ্তর একেবারে গোপনে ধান কিনে কারচুপি করতে চেয়েছিল। চাষিদের নাম করে ফড়েদের কাছে ধান কেনা হচ্ছিল। সেটা না হলে হরিহরপাড়া ও সাগরিদিঘি ব্লকের নাম করে বড়ঞায় কেন ধান কেনা হচ্ছিল? খাদ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানানোর পর আমরা বিক্ষোভ তুলে নিই। যদিও জেলা খাদ্য নিয়ামক সুদীপ্ত সামন্ত বলেন, এদিন বড়ঞায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কোনও কারচুপি করা হয়নি। আসলে জেলার যে কোনও জায়গার চাষি যেখানে খুশি ধান বিক্রি করতে পারেন। তাই হরিহরপাড়া ও সাগরদিঘি এলাকা থেকে ওখানে ধান কেনার জন্য পাঠানো হয়েছি। তবে এদিনই বোরো মরশুমের ধান কেনার পর্ব শেষ হল।