এই সময়: ঊর্ধ্বগতি সামান্য শ্লথ হলেও করোনা বেড়েই চলেছে দেশে, হচ্ছে মৃত্যুও। বাদ নেই বাংলা। গত ক’সপ্তাহে রাজ্যভিত্তিক হিসেবে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। প্রথমে কেরালা আর সেকেন্ডে কখনও মহারাষ্ট্র, কখনও দিল্লি, কখনও গুজরাট।

সরকারি ভাবে বাংলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত একজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তবে গত ক’দিনে আরও দু’টি মৃত্যুর কথা সামনে এসেছে। এমন আবহে দু’দিন হলো বাংলা থেকে আর করোনা-তথ্য পাঠানো হচ্ছে না বলে লেখা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড ড্যাশবোর্ডে।

যার সূত্রে ডেঙ্গির মতো করোনার ক্ষেত্রেও রাজ্য তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও বাংলার পাশাপাশি অরুণাচল, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুর, মিজ়োরামের করোনা সংক্রান্ত ডেটাও কেন্দ্রের পোর্টালে অপরিবর্তিত বলে দেখা যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও ওই পোর্টালে লেখা — ওয়েস্টবেঙ্গল: কোভিড–১৯ ডেটা অ্যাওয়েটেড। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের কোভিড–তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে একদিনে ৩০৬ বেড়ে বুধবার মোট অ্যাক্টিভ রোগী ৭ হাজার ১২১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ছ’জন। এর মধ্যে তিন জন কেরালার, দু’জন কর্নাটকের এবং এক জন মহারাষ্ট্রের।

মৃতদের মধ্যে শিশু থেকে মধ্যবয়সি ও প্রবীণরাও রয়েছেন। সকলেই অবশ্য গুচ্ছ কোমর্বিডিটির শিকার। মোট আক্রান্তের (২,২২৩) মতো মোট মৃতের (১৯) সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি কেরালায়। মৃত্যুর নিরিখে বাংলার স্থান দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকেরও পরে।

এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোভিড নিয়ে এত বাড়াবাড়ি কেন করা হচ্ছে? এতে তো আতঙ্ক ছড়াবে!

কেন্দ্রই বা এত বাড়াবাড়ি করছে কেন? স্বাস্থ্য তো রাজ্যের তালিকাভুক্ত। সব বিষয় ওদের জানাতে হবে কেন? দু’ দিন জানানো হয়নি। আবার জানানো হবে। এ ব্যাপারে এত উতলা হওয়ার কিছু নেই।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্তার বক্তব্য, ‘তথ্য সংকলন নিয়ে আমাদের কিছু জটিলতা আছে। মূলত বেসরকারি হাসপাতাল ও ল্যাব থেকে স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো তথ্যে কিছু সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি। তাই কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপাতত তথ্য পাঠানো হচ্ছে না।’