‘মোবাইল খুলতেই পারছি না, শুধু ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভেসে আসছে। যতবার খুলছি, ততবার ওই ঘটনা সামনে আসছে।’ আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ উঠতে এ ভাবেই শিউরে উঠলেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের লন্ডন গ্যাটউইকগামী ফ্লাইট AI171 মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ার বীভৎস দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছে সবাইকেই। দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪১ জন-সহ মৃত্যু আরও ৩৩ জনের। বেড়েই চলেছে মৃত্যুমিছিল। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হুগলির সাংসদ রচনাও।

পোলবায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কার্যালয়ে বিধায়কদের নিয়ে দলীয় বৈঠক সারতে এসে অভিনেত্রী সাংসদের মুখে শোনা গেল ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা। সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় আড়াইশো জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটা অভাবনীয়, অকল্পনীয়। সাংঘাতিক দুঃখের ঘটনা। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা বিরল। কোনও ভাষা নেই, এ দুঃখ প্রকাশ করার। যতবার মোবাইল খুলছি, ততবার ওই ঘটনাটাই সামনে আসছে। সবার চোখে জল, শুধু চারপাশে হাহাকার। এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেল । কত ছোট ছোট বাচ্চার জীবন অকালে শেষ হয়ে গেল। ড্রিমলাইনার তো স্বপ্নের বিমান। কত মানুষ ঘুরতে যায়। অনেকে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য লন্ডনে পড়তে যায়। কত স্বপ্ন! সব এক নিমেষে শেষ।’

কেন এই বিমান দুর্ঘটনা তার কারণ নির্দিষ্ট ভাবে খুঁজে বের করতে হবে বলে জানান সাংসদ। একাধিক তদন্ত সংস্থা যে কাজ শুরু করে দিয়েছে তাও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে সাংসদ আরও বলেন, ‘এতদিন ধরে অভিজ্ঞ পাইলটরা কয়েক হাজার কিলোমিটার যাত্রা করেছে। ড্রিমলাইন বিমানে ওঠার সবাই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এভাবে ভেঙে যাবে সেটা অকল্পনীয়, অভাবনীয়। কিছু একটা বার করা উচিত কী যান্ত্রিক গোলোযোগ হল।’

উল্লেখ্য, ১২ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি টেকঅফের ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই আমেদাবাদের মেঘানিনগরে আছড়ে পড়ে। সরাসরি মাটিতে নয়, বি জে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে আছড়ে পড়ে বিমানের একাংশ। আছড়ে পড়ার মুহূর্তে ঘটে বিরাট বিস্ফোরণ। ছিটকে পড়ে বিমানের বাকি জ্বলন্ত অংশ। এর জেরে শুধু বিমানে থাকা যাত্রীরাই নয়, হস্টেলের বাসিন্দা ও ওই এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষও এই দুর্ঘটনার শিকার হন।

অসমর্থিত সূত্রে খবর, বিমানে ২৪১ জন ছাড়াও আরও ৩৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়।